

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফরাসি ফার্স্ট লেডি ব্রিজিতকে নিয়ে অনলাইনে ছড়ানো ভিত্তিহীন অভিযোগ ও সাইবার হয়রানির মামলায় সোমবার প্যারিসের আদালতে ১০ জনের বিচার শুরু হয়েছে।
ঘটনা ঘটেছে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে, যখন ব্রিজিত ও রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁ যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা দায়ের করেন।
অনলাইনে একটি গুজব ছড়ানো হয়েছিল, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত একজন পুরুষ। এ ধরনের ভিত্তিহীন লিঙ্গভিত্তিক অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুইজন নারী। তাদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। প্যারিসের ফৌজদারি আদালতে বিচার চলবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
প্রসিকিউটরদের মতে, আসামিরা ব্রিজিতের লিঙ্গ ও যৌনতার বিষয়ে অসংখ্য বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন।
এছাড়া, তাদের অভিযোগ, ফার্স্ট লেডি ও তার স্বামীর বয়সের ব্যবধানকে ‘শিশু যৌন নির্যাতন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিজিত ২০২৪ সালের আগস্টে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ডিসেম্বর ও ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার হয়রানির তদন্ত শুরু হয় এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন অরেলিন পোয়ারসন-আটলান, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জো সাগান’ নামে পরিচিত। এছাড়া ৫১ বছর বয়সী ডেলফাইন জে, যিনি ‘আমান্দিন রোয়া’ ছদ্মনামে পরিচিত এবং স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। ২০২১ সালে তিনি ইউটিউব চ্যানেলে চার ঘণ্টার সাক্ষাৎকারে ব্রিজিতের পুরুষ হিসেবে জন্মের ভুল দাবিটি প্রচার করেছিলেন।
মামলার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, ব্রিজিত ও তার ভাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ২০২৪ সালে আপিল আদালতের রায়ে বাতিল হওয়ার আগে জারি করা হয়েছিল। এরপর ব্রিজিত মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতে নিয়ে যান।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওউন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ওউন্স ইউটিউব পডকাস্ট ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে বারবার ‘ব্রিজিত একজন পুরুষ’ দাবিটি প্রচার করেছেন। তাদের মার্কিন আইনজীবীর মতে, ফার্স্ট লেডি ট্রান্সজেন্ডার নন এবং এ প্রমাণিত করার জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ছবি আছে।
মন্তব্য করুন
