

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ত্রাণ বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহর গাজা অভিমুখী হওয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে চার শতাধিক অংশগ্রহণকারীকে আটক করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
স্পেনে বিক্ষোভকারীরা বার্সেলোনার দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করেন এবং ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান লিখেন। ইতালিতে শিক্ষার্থীরা মিলান, রোমসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে বিক্ষোভ চালান। বলোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির টায়ার ফেলেও পথ অবরোধ করা হয়, আর তুরিনে শত শত মানুষ সড়ক অবরোধ করেন।
রোমে চিকিৎসক, নার্স ও ফার্মাসিস্টরা একটি ফ্ল্যাশ মব আয়োজন করেন। তারা টর্চলাইট ও মোবাইলের আলো জ্বেলে গাজায় নিহত এক হাজার ৬৭৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীর নাম পাঠ করেন। এছাড়া, ইতালির ট্রেড ইউনিয়নগুলো গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহরের সমর্থনে সারাদেশে ধর্মঘট ডেকেছে।
তবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন।
ইউরোপের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন, ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্লিন ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হাজারো মানুষ সড়কে নেমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও পাকিস্তানের করাচিতেও বিক্ষোভ হয়।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে সাধারণ জনগণ প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করে। তারা স্লোগান দিতে থাকেন, যেমন— “ইসরায়েল মানবতাকেই হত্যা করছে, নীরব থেকো না, বসে থেকো না, উঠে দাঁড়াও।”
বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ৪৪টি নৌযানের মধ্যে ৪৩টি আটক করে এবং প্রায় ৫০০ কর্মীকে আটক করে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আডা কোলাউ, ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসান এবং পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর মুস্তাক আহমদ খান।
ইসরায়েল জানিয়েছে, আটককৃতদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
