শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তানজানিয়ায় বিতর্কিত নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, নিহত ৭০০

এনপিবিনিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম
expand
তানজানিয়ায় বিতর্কিত নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, নিহত ৭০০

তানজানিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় অন্তত ৭০০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা। তাদের দাবি, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই রাজধানী দার-এস-সালাম ও এমওয়ানজা অঞ্চলের বাসিন্দা। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

চাদেমা পার্টির মুখপাত্র জন কিতোকা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, শুধু দার-এস-সালামে প্রায় ৩৫০ জন এবং এমওয়ানজায় আরও ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যান্য অঞ্চলের মৃত্যুর হিসাব যোগ করলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ ছাড়িয়েছে।

এএফপি জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্রও এই সংখ্যার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। তবে জাতিসংঘের হিসাবে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম—সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা গেছে।

গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিরোধী দুই প্রধান দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখা হয়। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে দার-এস-সালামসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। সাধারণ মানুষ ভোটে অনিয়ম, বিরোধীদের দমন-পীড়ন এবং কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। বিক্ষোভকারীরা একাধিক গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন ও থানা ভবনে আগুন দেয়।

শুক্রবার পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভকারীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে ফলাফল ঘোষণা বন্ধের দাবি তোলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার দেশব্যাপী সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি বেশিরভাগ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দার-এস-সালামের এমবাগালা, গোঙ্গো লা এমবোতো এবং কিলুভইয়া এলাকায় কারফিউ ভঙ্গ করে জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তখন নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং গুলিও চালায়।

১৯৬১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে তানজানিয়ার ক্ষমতায় রয়েছে চামা চা মাপিনদুজি (সিসিএম) দল। সমালোচকদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক নির্বাচনটি দলের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার একটি প্রচেষ্টা।

গত বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তাঁর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভোটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি, যা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়িয়ে সহিংসতার জন্ম দেয়।

উল্লেখ্য, সামিয়া সুলুহু ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। ওই বছরই তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর তিনি দায়িত্ব নেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন