

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী পাস হওয়ার পরই লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শামস মেহমুদ মির্জা পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন-সর্বশেষ সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে তিনি আর নৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, সংশোধনী পাস হওয়াকে তিনি দায়িত্ব পালনের পথে নৈতিক বাধা হিসেবে দেখেছেন। শামস মেহমুদ মির্জা ২০১৪ সালে লাহোর হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জিয়া মুহাম্মদ মির্জার ছেলে।
বিচারপতি মির্জার পদত্যাগকে ‘সম্মানজনক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির অভিযোগ, নতুন সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের কাঠামো ভেঙে দিয়েছে, বিচার বিভাগকে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে এবং সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ভিত্তিতে আঘাত হেনেছে। তারা অন্য বিচারপতিদেরও পদত্যাগের আহ্বান জানায় এবং সোমবার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনসুর আলী শাহ ও আতহার মিনাল্লাহ পদত্যাগ করেন। তারা প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদিকে চিঠি দিয়ে ২৭তম সংশোধনী নিয়ে আদালতে খোলামেলা আলোচনার জন্য ফুল কোর্ট বৈঠক ও বিচারবিষয়ক সম্মেলন ডাকতে অনুরোধ করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে বিচারপতি মনসুর আলী শাহ সংশোধনীটিকে ‘পাকিস্তানের সংবিধানের ওপর গুরুতর আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ লিখেছেন, আমি ১১ বছর আগে যে সংবিধানের শপথ নিয়েছিলাম, তা আর বিদ্যমান নেই। সূত্র: ডন
মন্তব্য করুন
