

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তানের করাচি চিড়িয়াখানায় বহু বছর ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে এক আশ্চর্য অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক শেয়াল-যাকে স্থানীয়রা চেনে ‘মমতাজ বেগম’ নামে। চার দশক ধরে এই অদ্ভুত প্রদর্শনী দেখতে সেখানে প্রতিদিন ভিড় জমায় হাজারো দর্শনার্থী।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, মমতাজের শরীরের অর্ধেক অংশ মানুষের, আর অর্ধেক শেয়ালের। দর্শকদের জন্য তাকে রাখা হয়েছে বিশেষভাবে সাজানো একটি খাঁচায়। মাথায় ঘোমটা টেনে তিনি দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেন, বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে আলাপ করতে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। শিশুদের নানা প্রশ্নে মুখর থাকে সেই ঘর, আর টিকিটের দাম মাত্র ১০ টাকা।
তবে এই ‘অলৌকিক প্রাণী’র রহস্য উন্মোচিত হলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রকৃতপক্ষে, ‘মমতাজ বেগম’ কোনো অর্ধমানব নন, বরং এক অভিনয়শিল্পী।
চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানান, দর্শকদের চোখে বিভ্রম তৈরি করতে মঞ্চের ওপর শেয়ালের দেহের একটি মডেল স্থাপন করা হয়, যার সঙ্গে নিচে লুকানো ঘর থেকে একজন মানুষ তার মাথা বের করে রাখেন। ঘোমটার আড়ালে মানুষের মাথা আর শেয়ালের মডেলের সংযোগস্থল ঢেকে রাখা হয়, যাতে বিভ্রম সম্পূর্ণ হয়।
সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হলো, ‘মমতাজ বেগম’ আসলে একজন পুরুষ, নাম মুরাদ আলি। প্রায় ৪০ বছর আগে এই চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছিল, এবং মুরাদের আগে তাঁর বাবা একই চরিত্রে অভিনয় করতেন। বাবার মৃত্যুর পর ১৬ বছর আগে দায়িত্ব নেন মুরাদ। এখন তিনি প্রতিদিন টানা ১২ ঘণ্টা ধরে অভিনয় করে যান এই রহস্যময় “অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক শেয়াল” রূপে-যা করাচি চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে টিকে আছে আজও।
মন্তব্য করুন
