

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাপান রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন মাইলফলক তৈরি করতে যাচ্ছে। দেশটির ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) শনিবার রক্ষণশীল ও জাতীয়তাবাদী নেতা সানা তাকাইচিকে দলের নতুন সভাপতি নির্বাচিত করেছে।
এর মাধ্যমে ৬৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিকের সামনে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হলো।
মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষুব্ধ জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই তাকাইচিকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন বিরোধী দল বিদেশিদের ওপর কঠোর নীতি ও প্রণোদনা-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আগামী ১৫ অক্টোবর জাপানের পার্লামেন্টে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ভোটে তাকাইচি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। তবে এখনো তা নিশ্চিত নয়, কারণ গত বছর ইশিবার নেতৃত্বে এলডিপি ও তাদের জোট দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
বর্তমানে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ফর দ্য পিপল ও অভিবাসন-বিরোধী সানসেইতোসহ নানা বিরোধী দল তরুণদের ভোট থেকে এলডিপিকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে।
দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে তাকাইচি ভাষণে বলেন, “সম্প্রতি সারা দেশে কঠোর কণ্ঠস্বর শুনছি। জনগণ জানে না এলডিপি তাদের জন্য কী করছে। এই জরুরি পরিস্থিতির অনুভূতিই আমাকে প্রেরণা দিয়েছে। আমি চাই মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগকে আশায় রূপান্তরিত করতে।”
নিজেকে ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে উল্লেখ করেন তাকাইচি। পাশাপাশি তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি পুনর্নবীকরণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই চুক্তি জাপানি করদাতাদের বিনিয়োগের বিনিময়ে শাস্তিমূলক শুল্ক কমিয়েছিল।
মন্তব্য করুন

