

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মৌসুমী বায়ুর আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পরও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টার সময় লঘুচাপটি সুস্পষ্ট আকার ধারণ করে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং আরও ঘণীভূত হতে পারে।
এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, যা বৃহস্পতিবার আরও বাড়বে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-একটি স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য এলাকাগুলোতে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
বুধবার সন্ধ্যার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অংশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগজুড়ে। এ সময় তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টির মাত্রা ও বিস্তৃতি আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার সামগ্রিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশ কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু-একটি স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সময় ধরা হয়। এর মধ্যে নভেম্বর মাসে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ইতিহাস বেশি। ফলে অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
