

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মিরপুরের পরিচিত ঘূর্ণিঝাঁকা উইকেটে ব্যাট করতে নেমে বেশ সংগ্রামী ইনিংসই খেলেছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। শেষের দিকে রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিং ছিল দলের ইনিংস গঠনের বড় চালিকাশক্তি।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ছিলেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। তবে শুরুটা ভালো হয়নি সাইফের। ১৬ বলে মাত্র ৬ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে। এরপর তাওহিদ হৃদয় (১২), শান্ত (১৫) এবং অঙ্কন (১৭)-এর ব্যাটে খুব একটা স্বস্তি আসেনি। সবাই উইকেটে সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
অন্যদিকে সৌম্য কিছুটা স্থিরতা এনে দিলেও ফিফটির খুব কাছাকাছি গিয়েও থেমে যান। ৮৯ বল মোকাবেলা করে করেন ৪৫ রান, যেখানে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কার মার। দলীয় ১০৩ রানে পড়েছিল ৫ উইকেট।
এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। এই জুটিতে আসে ২৫ রান। নাসুম এক ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখালেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি, আউট হন ১৪ রান করে।
নুরুল হাসান সোহান ব্যাট হাতে কিছুটা তাড়াহুড়ো করলেও কার্যকর ছিলেন। তিনি ২৩ রান করেন ২৩ বলেই, মারেন ২টি চার ও একটি ছক্কা। তার বিদায়ের পর দলের রান এক সময় মনে হচ্ছিল ২০০ ছোঁয়া কঠিন হবে।
কিন্তু ঠিক তখনই রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ইনিংস ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায়। মাত্র ১৪ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন তিনি, যা দলের স্কোরবোর্ডে বড় প্রভাব ফেলে। মিরাজ ইনিংস শেষ করেন ৩২ রানে অপরাজিত থেকে, খেলেন ৫৮ বল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে গুদাকেশ মোতি নেন ৩টি উইকেট, আকিল হোসেন ও অলিক আথানেজে পান ২টি করে।
মন্তব্য করুন
