

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য গণভোট আয়োজনের প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু হেনা রাজ্জাকী বলেছেন, যদি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, তবে সেটি অবশ্যই জামায়াতে ইসলামিকে বাদ দিয়েই করা উচিত।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গণভোটের লক্ষ্য হওয়া উচিত জাতির ঐক্য ও গণতন্ত্রের ভিত্তি পুনর্গঠন, কোনোভাবেই বিভাজন সৃষ্টি নয়। তার ভাষায়, “জামায়াতকে অন্তর্ভুক্ত করা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করা। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন দেওয়া গণতন্ত্র ও রাষ্ট্র উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতকে কখনো আন্দোলনের সহযোগী, আবার কখনো ক্ষমতার অংশীদার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে- যা মূলত রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানিতার পরিচায়ক। যদি আমরা সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নৈতিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, তবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে কোনো জাতীয় প্রক্রিয়ায় স্থান দেওয়া উচিত নয়, মন্তব্য করেন তিনি।
আবু হেনা রাজ্জাকী বলেন, রাজনীতিকদের নৈতিক সীমারেখা থাকা জরুরি। একদিকে কাউকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে চিহ্নিত করা, আবার অন্যদিকে সেই দলকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়া- এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল, যোগ করেন তিনি।
তার মতে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে বারবার রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল করছে। “যে দলই ক্ষমতায় আসুক, প্রশাসনকে নিজেদের অনুগত করার প্রবণতা দেখা যায়- এর ফলেই জনগণের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে,” বলেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
গণভোটের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “গণভোট জনগণের মতামতের প্রতিফলন হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে যদি এমন কোনো দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে বা এখনও তাদের অবস্থান বদলায়নি, তাহলে সেই গণভোটের নৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
মন্তব্য করুন
