

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অধ্যাপক নাহরিন আই খান।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন টকশোরই সহ-আলোচক, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সময়ে জামায়াত-শিবিরকে সিস্টেমেটিকভাবে ভিলিফাই করা হয়েছিল। মিথ্যার সঙ্গে আরও মিথ্যা মিশিয়ে এক ধরনের ফিকশন তৈরি করা হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও, অনেকে এখনও একই কাজ করতে চাইছেন।
ড. মির্জা গালিব জানান, জিটিভির এক টকশোতে একজন সহ-আলোচক বলেন, সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি বলছেন, আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া লোকদের স্ত্রীদের উপর জামায়াতের হক আছে।’
পরে সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি ফোন করে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বরং তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটাররা ৫ আগস্টের পরে আমাদের দ্বারা কোনো ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হননি। এই কারণে তারা আমাদের ভোট দিতে পারে।
ড. গালিব বলেন, যিনি অভিযোগ করছেন যে ওই সেক্রেটারি এমন কথা বলেছেন, তার প্রমাণ থাকা উচিত। যাচাই-বাছাই না করে ফেসবুকের ফটোকার্ড দেখে এই ধরনের অভিযোগ করা ঠিক নয়। ভুল হলে তা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চ্যানেল ২৪-এর আরেকটি টকশোতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা জামায়াতকে সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে শিবিরের অস্ত্র দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় দখল করা যেত। কিন্তু তিনি খালেদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে এক টকশোতে শুনেছেন, শফিকুল ইসলাম মাসুদ শুধুমাত্র শিবির সম্পর্কিত কথাগুলো কোট করেছেন।
ড. গালিব বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা একে অপরকে সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য বা প্রোপাগান্ডা দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে থামানো সম্ভব হলে, আওয়ামী লীগই ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকত।
এর আগে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অধ্যাপক নাহরিন আই খান একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারির উদ্ধৃতি দিয়ে মন্তব্য করেন। পরে ওই নেতা বিষয়টি স্পষ্ট করেন এবং বলেন, আমি কোথাও এই ধরনের কথা বলিনি।
মন্তব্য করুন
