শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেসবুক লাইভে পর্ন জগতে আসার কারণ জানিয়েছিল সেই বৃষ্টি 

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
পর্ন তারকা বৃষ্টি 
expand
পর্ন তারকা বৃষ্টি 

দেশে অবস্থান করেও আন্তর্জাতিক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে উচ্চস্তরের কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে আজিম (২৮) ও বৃষ্টি (২৮) কে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্ন তারকা বৃষ্টি ফেসবুক লাইভে এসে তার পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে আসার কারণ জানিয়েছিলো।

পর্ন তারকা বৃষ্টি ফেসবুক লাইভে বলে, ওই আওয়ামী লীগ ছিলো না কুত্তালীগ? আওয়ামী লীগকে আমি কুত্তালীগ বলব। কুত্তালীগের কারণে আমাদের লাইফটা পুরো ধ্বস, আমরা জাহান্নামের রাস্তায় চলে গেছি।

লাইভে সে আরও বলে, হ্যাঁ আমি খারাপ, আমি খারাপ একটা মানুষ। তবে খারাপ মানুষটার ব্যাপারে জানবেন আগে। মানুষটা কেনো খারাপ হয়েছে। কারণ আপনাদের হেল্প পেয়ে আমি যেমন খারাপ হয়েছি, এখন যদি আবার সুন্দর কমেন্ট করেন বা আপনারা যদি আবার আগের মতো ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যেই আমি মনে করি ভালোর দিকে আবার আসতে পারবো।

বৃষ্টি ফেসবুক লাইভে বলে, ‘সবাই আমাকে খ্রিস্টান নামেন চিনলেও আসলে আমি মুসলিম। তো একজন মুসলিম হয়ে কেনো আমি খারাপ রাস্তায় গেছি এটা শুধু ওই কুত্তালীগ, কুত্তালীগের জন্য। ওই হাসিনা আছে না, কি বলব মুখ দিয়ে অনেক খারাপ খারাপ গালি আসতেছিলো।

আবার হাসিনার আমলে পুলিশগুলো তো ছিলো হাসিনার জামাই। হাসিনার মায়ের জামাই। সেটা হলো পুলিশের কাছে গিয়েও আমরা কোনো বিচার পায়নি ।

আপনরা হয়তো এক সেকেন্ট এসে খারাপ কমেন্ট করতে পারেন, আমার বাপ মা ধরে গালাগালি করতে পারেন কিন্তু আমার লাইফের পিছনে কেউই জানেন না। যেটা ক্যামেরার সামনে দেখেন ওটা আসলে মানুষের বাস্তব জীবন না।

আর আমি অন্যায় করছি ভালো হয়েছে, আমি আমার স্বামীর সাথে করেছি অন্য কোনো মানুষের সাথে না। তো এখন অনেকে বলতে পারেন হ্যাঁ আপনাদের টাকা খেয়ে ফেলছে অনেকে। ভালো কাজের জন্য দিয়েছেন খেয়ে ফেলছে। তো আপনরা চাইলে ভালোর দিকে যেতে পারতেন। অবশ্যই আমরা ভালোর দিকে চেষ্টার পর যখন দেখছি আমরা পারি নাই। তখন আমরা খারাপটা বেছে নিয়েছি।

গার্মেন্টসে আমি কাজ জানতাম না, আমি কাজ শিখছি। এক মাস কাজ শেখার পর আমাকে ওখান থেকে একটা সার্টিফিকেট দিয়েছিলো।

আমার ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি , আমার স্বামীর বাড়ি চট্রগ্রামে, আর চট্রগ্রামের আনোয়ারাই একটা ইপিজেট এর মধ্যে সব চেয়ে বড় গার্মেন্টস। এখানে আমি এক মাস কাজ শিখছিলাম। কাজ শেখার পরে একটা চাকরির জন্য যায় । ওখানে ২-৩ টা গার্মেন্টসে গিয়েছি কাজের জন্য। কিন্তু সবাই আমাকে কি অফর দেয় জানেন? সবাই আমাকে অন্য কিছুর অফার দেয়।

আমাদের জীবন কাহিনী শুনলে যে কেউ কান্না করে দিবেন। আমাদের তখন খোজ নেওয়ার মতো কেউ ছিলো না । আত্মীয় স্বজনসহ কেউ আমাদের দুটা মানুষের খোজ নেওয়ার মতো কেউই ছিলো না। এমনও সময় গেছে আমরা এক রাত এক দিন খাবার নাখেয়ে থেকেছি।’

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন