

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসলামি শিক্ষায় নারীরা-পুরুষদের মতোই-আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে জান্নাত পেতে পারেন। কোরআন ও সহিহ হাদিসে এমন কিছু আমলের কথা উল্লেখ আছে, যা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য জান্নাতের ওয়াদা দেয়।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন কোনো নারী তার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, তার মাসের রোজা (রমজানের রোজা) রাখবে, তার সতীত্ব রক্ষা করবে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করবে, তখন তাকে বলা হবে: জান্নাতের যে দরজা দিয়ে খুশি প্রবেশ করো। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং- ৪১৬৩)
অন্য একটি হাদিসে একই ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়। আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামাজ) আদায় করে, রমজানের সিয়াম (রোজা) পালন করে, নিজের সতীত্ব বজায় রাখে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে বলা হবে: তুমি যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে জান্নাতে প্রবেশ করো। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং- ১৬৬৪; শাইখ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)
জান্নাত লাভের প্রধান শর্ত হলো আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং নেক আমল বা সৎকর্ম করা। কোরআনে বহু জায়গায় এর উল্লেখ রয়েছে।
‘আর যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, আমরা অবশ্যই জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষগুলোতে তাদের স্থান দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কতই না উত্তম!’ (সূরা আল-আনকাবুত (২৯), আয়াত: ৫৮ )
রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সতী নারীর চারটি গুণের কথা বর্ণনা করেছেন।
আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন, কোনো মুমিন ব্যক্তি আল্লাহভীতির পর উত্তম যা লাভ করে, তা হলো পুণ্যময়ী স্ত্রী। স্বামী তাকে কোনো নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে। সে তার দিকে তাকালে (তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা ও প্রফুল্লতা) তাকে আনন্দিত করে এবং সে তাকে শপথ করে কিছু বললে সে তা পূর্ণ করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৮৫৭)
এসব চারটি গুণ অর্জন করে, এই চারটি কাজ জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করা আবশ্যক।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোনো নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমজানের রোজা রাখে, গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে এবং তার স্বামীর একান্ত অনুগত হয়, তবে তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ৩২৫৪)
মন্তব্য করুন
