

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের প্রতিটি কাজের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু বলা নয়, না বলা, কী গোপন রাখা উচিত, তাও ইসলামে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। কিছু বিষয় গোপন রাখার নির্দেশ মুসলিমের কল্যাণ, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
ইসলামে কিছু বিষয় গোপন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে হাদীস ও আলেমদের মতে উল্লেখ আছে। নিচে ইসলামে গোপন রাখার জন্য নির্দেশিত ৮টি বিষয় তুলে ধরা হলো...
কুরআন
যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান কর, তবে তা ভালো; আর যদি গোপনে দাও এবং দরিদ্রদের দাও, তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম। (সূরা আল-বাকারা ২:২৭১)
দান গোপনে করলে রিয়া (দেখানো) থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
হাদীস
কিয়ামতের দিনে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি সেই, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে এবং তারপর সেই গোপন বিষয় প্রকাশ করে। (সহিহ মুসলিম, হাদীস ১৪৩৭)
স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন অন্যের কাছে প্রকাশ করা হারাম।
হাদীস
যে কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, সে যেন কেবল যাকে ভালোবাসে তার কাছেই তা বর্ণনা করে। (সহিহ বুখারি, হাদীস ৬৯৮৫)
ভালো স্বপ্নে কখনো আল্লাহর বার্তা থাকতে পারে; সবাইকে বললে হিংসা বা বদনজর লাগতে পারে।
যদি কেউ গোপনে পরামর্শ বা কথা বলে, তা অন্যকে বলা বিশ্বাসঘাতকতা।
হাদীস
যখন কেউ তোমার সঙ্গে কথা বলে এবং চারপাশে কেউ না থাকে, তা হলে তা আমানত (গোপনীয় বিষয়)। (আবু দাউদ, হাদীস ৪৮৬৮)
নিজের ধন-সম্পদের পরিমাণ বা উৎস অহংকারবশত প্রকাশ করা উচিত নয়। এতে হিংসা, বদনজর ও ফেতনা সৃষ্টি হতে পারে।
হাদীস
তোমাদের প্রয়োজন পূরণ করো গোপনে, কারণ প্রত্যেক নেয়ামতের প্রতি হিংসুক থাকে। (তাবারানি, আল-মুজাম আল-কবীর)
মুসলমানের দোষ গোপন রাখা একটি সওয়াবের কাজ।
হাদীস
যে মুসলমানের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ কিয়ামতের দিনে তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদীস ২৫৯০)
ইখলাস বজায় রাখতে দোয়া, নামাজ বা নফল ইবাদত গোপনে করা শ্রেয়।
হাদীস
গোপনে করা দান প্রকাশ্য দানের চেয়ে উত্তম, আর গোপনে করা নামাজ প্রকাশ্য নামাজের চেয়ে উত্তম। (বায়হাকি, শু‘আবুল ঈমান)
পরিকল্পনা বা লক্ষ্য প্রকাশ করলে বাধা বা হিংসা সৃষ্টি হতে পারে।
হাদীস
“তোমাদের প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা
মন্তব্য করুন
