মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আস্তাগফিরুল্লাহঃ অর্থ যেভাবে ইস্তিগফার করা যায়

এনপিবিনিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
“আস্তাগফিরুল্লাহ”  অর্থ— আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
expand
“আস্তাগফিরুল্লাহ” অর্থ— আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

ইসলাম ধর্মে তাওবা ও ইস্তিগফারকে মুমিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার অন্যতম সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো “আস্তাগফিরুল্লাহ”, যার অর্থ— আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

ধর্মীয় সূত্রে জানা যায়, কুরআন ও হাদিসে ইস্তিগফারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেও প্রতিদিন বহুবার আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতেন। পাপ মোচন, অন্তরের শান্তি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের অন্যতম পথ এটি।

ধর্মীয় আলেমরা বলেন, ইস্তিগফার করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। শুধু মুখে “আস্তাগফিরুল্লাহ” উচ্চারণই নয়, বরং আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া, নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া এবং সৎকর্ম ও দান-সদকার মাধ্যমে ভুলত্রুটি শোধরানোও ইস্তিগফারের অন্তর্ভুক্ত।

বিশেষ সময়েও ইস্তিগফারের গুরুত্ব বেশি। যেমন—ফজর ও মাগরিব পরবর্তী সময়, রাতের তাহাজ্জুদ, কিংবা যেকোনো পাপের পরপরই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তবে আলেমরা বলেন, প্রতিটি মুহূর্তেই ইস্তিগফার করা উচিত, কারণ মানুষ অজান্তেই অনেক ভুল করে ফেলে।

ধর্মীয় স্কলারদের মতে, ইস্তিগফার মানুষের জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলে। এটি আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের পথ খুলে দেয়, রিযিক ও বরকত বৃদ্ধি করে এবং দুশ্চিন্তা ও কষ্ট লাঘব করে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ইস্তিগফারের মাধ্যমে আখিরাতে মুক্তির সুযোগ তৈরি হয়।

ধর্মপ্রাণ মানুষদের আহ্বান জানিয়ে আলেমরা বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইস্তিগফারকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। আল্লাহর ক্ষমা ছাড়া মুক্তি নেই, তাই ইস্তিগফারই হতে পারে প্রকৃত শান্তি ও মুক্তির পথ।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X