

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে মানুষ প্রায়শই ঋণ নিতে বাধ্য হয়। ঋণের টাকায় প্রয়োজনীয়তা পূরণের চেষ্টা করা হয়। তবে ইসলামে সাধ্যের বাইরে ঋণ নেওয়া বা দেওয়া উভয়ই নিষিদ্ধ। কারণ, এতে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে ঋণদাতা হতাশ হয়, এবং ঋণগ্রহীতার আত্মমর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মহানবী (সা.) আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন যাতে তিনি ঋণে জড়িয়ে না পড়েন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজের পরে দোয়া করতেন—হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে গুনাহ ও ঋণ থেকে পানাহ চাচ্ছি। এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি ঋণ থেকে বেশি পানাহ চান কেন? রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা ভঙ্গ করে। (বুখারি, হাদিস: ২,৩৯৭)
ঋণ থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন দোয়া ও আমল রয়েছে। নিম্নে একটি দোয়া উল্লেখ করা হলো-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক’।
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি আপনার হালালের মাধ্যমে আমাকে পরিতুষ্ট করে হারাম থেকে বিরত রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহের মাধ্যমে আপনি ছাড়া অন্য সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করুন।
অন্য হাদিসে আরেকটি দোয়ার কথাও এসেছে।
তা হলো- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَال
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন দালাইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, এবং অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
হাদিস : আলি বিন আবু তালিব (রা.) বর্ণনা করেছেন, তার কাছে এক চুক্তিবদ্ধ দাস এসে বলল, আমি চুক্তিকৃত অর্থ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে সহযোগিতা করুন।
তখন তিনি বলেছেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না যা রাসুল (সা.) আমাকে শিখিয়েছেন? যদি তোমার ওপর পাহাড় পরিমাণ ঋণও থাকে আল্লাহ তা তোমার পক্ষ থেকে শোধ করবেন। তুমি এই (প্রথম) দোয়াটি পড়বে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৬৩)
মন্তব্য করুন
