

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কবর জিয়ারত মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি কেবল মৃতের আত্মার জন্য দোয়া করার সুযোগ নয়, বরং জীবন্তদের জন্যও পাপমুক্ত জীবন গড়ার শিক্ষা প্রদান করে।
কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মৃত ব্যক্তির রুহের মুক্তি ও মাগফিরাত কামনা করা মূল উদ্দেশ্য। জিয়ারত শুরু করা হয় এই দোয়ায়, ‘আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিনা ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন’। এরপর দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা, ইখলাস এবং আয়াতুল কুরসি পাঠ করা হয়।
কবর জিয়ারতের সময় কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বিধিনিষেধ নেই। তবে জুমার দিন কবর জিয়ারত করলে তা আরও বেশি ফজিলতপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি প্রতি জুমায় তার মা-বাবা বা তাদের একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করা হবে।”
কবর জিয়ারতের নিয়ম
কবরস্থানে প্রবেশের সময় বলা হয়, ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর’।
দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা এবং অন্যান্য মুখস্থ সুরা পাঠের মাধ্যমে মৃতের জন্য দোয়া করতে হবে।
দোয়া এক ব্যক্তির জন্য সীমাবদ্ধ নয়; সব মৃতের জন্য করা উত্তম।
কবরের পাশে গেলে বিষণ্নতা বা অশ্রু স্বাভাবিক, তবে হাহুতাশ বা অতিরিক্ত আবেগপ্রকাশ এড়ানো উচিত।
কবরস্থানে যা করা যাবে না
১. কবরকে ঘর বা উৎসবের জায়গা বানানো। ২. কবরস্থানে পশু জবাই করা। ৩. কবরের ওপর বসা। ৪. কবরের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করা।
বিশেষ নির্দেশনা
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করার সময় আবেগপ্রবণ হলেও এটিকে মৃত্যুর স্মরণ ও শিক্ষা হিসেবে দেখতেন।
বিশেষ দিন যেমন শবে বরাত ও দুই ঈদ-এর সময় মুসলিমরা প্রিয়জনের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে একসঙ্গে দোয়া করেন।
মন্তব্য করুন

