রবিবার
০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসমিল্লাহর উৎপত্তি, শিক্ষা ও ফজিলত

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০০ পিএম
expand
বিসমিল্লাহর উৎপত্তি, শিক্ষা ও ফজিলত

অর্থ “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” একটি আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ— পরম করুণাময়, দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। এখানে “শুরু করছি” শব্দটি অন্তর্নিহিত; উদ্দেশ্য হলো যেকোনো কাজ আল্লাহর নামে আরম্ভ করা।

কোরআনে বিসমিল্লাহ: কোরআনের প্রতিটি সূরার শুরুতে (সূরা তাওবা ছাড়া) বিসমিল্লাহ রয়েছে। হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকার ঘটনায় আল্লাহ বলেন: “তোমরা এতে আরোহণ কর আল্লাহর নামে।” (সূরা হুদ: ৪১)

সুলায়মান (আ.) বেলকিসের রানিকে পাঠানো পত্রে লিখেছিলেন: এটি সুলায়মানের পক্ষ থেকে, আর এটি দয়াময়, পরম করুণাময়ের নামে। (সূরা নামল: ৩০)

ইমাম কুরতুবীর মতে, এ আয়াত থেকে শিক্ষা নেওয়া যায় যে চিঠি বা বার্তার শুরুতেও বিসমিল্লাহ লেখা সুন্নত।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আমল: প্রথম দিকে তিনি লিখতেন: “বিসমিকাল্লাহুম্মা” পরে ব্যবহার করেন: “বিসমিল্লাহির রহমান”। সর্বশেষে পূর্ণ রূপ: “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” কোরআনে নাজিল হলে সেটিই প্রচলন করেন। নবী করিম (স.) সমসাময়িক রাজাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিসমিল্লাহ লিখতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধিপত্রে কাফেরদের আপত্তিতে ‘বিসমিকাল্লাহুম্মা’ লেখা হয়েছিল।

হাদিসে নির্দেশনা: “যে কাজ আল্লাহর নাম ছাড়া শুরু হয়, তা বরকতহীন হয়।” (মুসনাদে আহমাদ)

আরেক হাদিসে এসেছে: খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত। যদি কেউ শুরুতে ভুলে যায়, তাহলে বলবে: “বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।” (আবু দাউদ, আহমাদ)

শরীয়তের বিধান: কোনো পশু জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ না বললে সেটি হালাল হয় না। (সূরা আনআম: ১২১; সহিহ বুখারি: ৩০৭৫) প্রতিটি ভালো কাজ বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করা সুন্নত বা অন্তত মুস্তাহাব।

সংক্ষেপে ফজিলত: বরকত লাভের মাধ্যম। কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ করায়। কোরআনের অংশ হিসেবে তা পাঠের সওয়াব রয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি উত্তম কাজের প্রথম ধাপ হওয়া উচিত “বিসমিল্লাহ”।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন