

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অর্থ “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” একটি আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ— পরম করুণাময়, দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। এখানে “শুরু করছি” শব্দটি অন্তর্নিহিত; উদ্দেশ্য হলো যেকোনো কাজ আল্লাহর নামে আরম্ভ করা।
কোরআনে বিসমিল্লাহ: কোরআনের প্রতিটি সূরার শুরুতে (সূরা তাওবা ছাড়া) বিসমিল্লাহ রয়েছে। হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকার ঘটনায় আল্লাহ বলেন: “তোমরা এতে আরোহণ কর আল্লাহর নামে।” (সূরা হুদ: ৪১)
সুলায়মান (আ.) বেলকিসের রানিকে পাঠানো পত্রে লিখেছিলেন: এটি সুলায়মানের পক্ষ থেকে, আর এটি দয়াময়, পরম করুণাময়ের নামে। (সূরা নামল: ৩০)
ইমাম কুরতুবীর মতে, এ আয়াত থেকে শিক্ষা নেওয়া যায় যে চিঠি বা বার্তার শুরুতেও বিসমিল্লাহ লেখা সুন্নত।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আমল: প্রথম দিকে তিনি লিখতেন: “বিসমিকাল্লাহুম্মা” পরে ব্যবহার করেন: “বিসমিল্লাহির রহমান”। সর্বশেষে পূর্ণ রূপ: “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” কোরআনে নাজিল হলে সেটিই প্রচলন করেন। নবী করিম (স.) সমসাময়িক রাজাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বিসমিল্লাহ লিখতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধিপত্রে কাফেরদের আপত্তিতে ‘বিসমিকাল্লাহুম্মা’ লেখা হয়েছিল।
হাদিসে নির্দেশনা: “যে কাজ আল্লাহর নাম ছাড়া শুরু হয়, তা বরকতহীন হয়।” (মুসনাদে আহমাদ)
আরেক হাদিসে এসেছে: খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলা সুন্নত। যদি কেউ শুরুতে ভুলে যায়, তাহলে বলবে: “বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।” (আবু দাউদ, আহমাদ)
শরীয়তের বিধান: কোনো পশু জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ না বললে সেটি হালাল হয় না। (সূরা আনআম: ১২১; সহিহ বুখারি: ৩০৭৫) প্রতিটি ভালো কাজ বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করা সুন্নত বা অন্তত মুস্তাহাব।
সংক্ষেপে ফজিলত: বরকত লাভের মাধ্যম। কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম স্মরণ করায়। কোরআনের অংশ হিসেবে তা পাঠের সওয়াব রয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি উত্তম কাজের প্রথম ধাপ হওয়া উচিত “বিসমিল্লাহ”।
মন্তব্য করুন
