

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সুরা হাশর (পবিত্র কোরআন, ৫৯তম সুরা)
সুরা হাশর মদিনায় অবতীর্ণ। এতে ৩ রুকু এবং ২৪ আয়াত রয়েছে। এই সুরার মধ্যে ইহুদিদের নির্বাসনের ঘটনা উল্লেখ আছে।
মদিনা থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে বনু নাজিরের বসবাস ছিল। তারা নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। একবার নবী করিম (সা.) তাদের মহল্লায় গেলে তারা তাঁকে একটি ছাদের নিচে বসতে দেন। পরে ছাদ থেকে পাথর ফেলিয়ে তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেন। আল্লাহ তাআলা ওহির মাধ্যমে নবী করিম (সা.)-কে এ বিষয়ে জানালে তিনি নিরাপদ স্থানে সরে যান। এরপর নবী করিম (সা.) তাদের জানিয়ে দেন, “তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছ। তোমাদের ১০ দিন সময় দেওয়া হলো। এরপর কাউকে পাওয়া গেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।”
মুনাফিকদের প্ররোচনায় তারা তখনও দেশ ত্যাগ করেছিল না। চতুর্থ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে নবী করিম (সা.) তাদের পাড়া ঘেরাও করেন। শেষে তারা অস্ত্র ছাড়া নিজের জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে; কেউ খাইবার উপত্যকায় গেল, কেউ সিরিয়ায়।
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ: হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাদি, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বারিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।
অর্থ: তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়। তিনিই মালিক, পবিত্র, শান্তি, নিরাপত্তাবিধায়ক, রক্ষক, পরাক্রমশালী, প্রবল, অহংকারের অধিকারী। ওরা যাকে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে তা থেকে তিনিই পবিত্র। তিনিই সৃজনকর্তা, উদ্ভাবক, রূপদাতা। আকাশ ও পৃথিবীর সমস্তই তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, তত্ত্বজ্ঞানী।
ফজীলত: রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল বেলা সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাঁর জন্য ৭০,০০০ ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করবে। এ সময়ের মধ্যে যদি সেই ব্যক্তি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। সন্ধ্যার সময় পড়ার ক্ষেত্রেও একই মর্যাদা প্রযোজ্য। (সূত্র: সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩০৯০)
আপনি চাইলে আমি এটিকে সংক্ষিপ্ত এবং হেডলাইন-বান্ধব ভার্সন হিসাবেও সাজাতে পারি, যা শিক্ষা বা সংবাদপত্রের জন্য সহজ হবে। আপনি কি সেটা চাইবেন?
মন্তব্য করুন
