

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে শনিবার (২২ নভেম্বর) জামায়াতের স্থানীয় নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট নেতাদের এক সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি দাবি করেন, শুধু জনগণের ওপর নির্ভরশীল থাকলে নির্বাচনে সফল হওয়া কঠিন; স্থানীয় প্রশাসনকেও নিজেদের প্রভাবের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতির টাকা বন্ধ হলে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বৈধভাবে অর্থ আসবে, পাশাপাশি অস্ত্র আসার ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তাঁর মতে, আমির পর্যায়ের নেতৃত্ব থাকলে বিষয়টি আরও জোরালোভাবে বলা যেত—যে প্রতিটি এলাকায় প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের নিজেদের নির্দেশনায় কাজ করাতে হবে।
তিনি বলেন, “যারা মাঠে আছে—পুলিশ, প্রশাসন—তারা যেন আমাদের কথায় সাড়া দেয়, প্রয়োজন হলে গ্রেপ্তার-মামলাও আমাদের নির্দেশমতো করে।”
কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পর্যন্ত দলীয় প্রতীকের পক্ষে কথা বলা প্রয়োজন। তাঁর দাবি, থানার ওসি থেকে শুরু করে ইউএনও—সকালের পরিকল্পনা জেনে প্রার্থীদের প্রটোকল দেওয়ার মতো অবস্থায় থাকতে হবে।
বক্তৃতায় তিনি নিজের অতীত ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন। বলেন, দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পে তিনি ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে সহায়তা করেছিলেন।
তাঁর হিসাব অনুযায়ী, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া—দুই উপজেলায়ই শত কোটি টাকার প্রকল্প গিয়েছে এবং বাস্তবায়নের জন্য আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। তিনি পরামর্শ দেন, জনগণকে গুরুত্ব না দিলে বা তাদের প্রয়োজন না বুঝলে নির্বাচনী ফল ভালো হবে না।
শুধু পরিচিত বা ঘনিষ্ঠদের নিয়ে অনুষ্ঠান করলে প্রকৃত ভোটারদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
বক্তৃতার শেষ দিকে তিনি বলেন, নির্বাচন কেবল সংগঠনের কার্যক্রম নয়—সংগঠন ভিত্তি হলেও জনগণকে সম্পৃক্ত না করলে সফলতা আসে না। তাঁর মতে, আগের সরকারের পতনও ঘটেছে জনগণের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায়; তাই জনসমর্থনই টিকে থাকার মূল শক্তি।
মন্তব্য করুন
