বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হলে তারা পরিবারকে সময় দিতে পারবেন: জামায়াত আমির

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
expand
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন মহল অস্বচ্ছ উপায়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।

তার ভাষায়, “গাছে কাঁঠাল রেখে গোপে তেল দেওয়ার মতো কৌশলে মাসল পাওয়ার ও টাকার প্রভাবে ভোট হাইজ্যাকের প্রস্তুতি চলছে।” এ ধরনের পরিস্থিতিতে যুবসমাজকে দৃঢ় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রীতি সমাবেশে তিনি বলেন, যুবকদের ভোট নিয়ে টানাটানি সহ্য করা হবে না।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবে। আমাদের দায়িত্ব তোমাদের পাশে থেকে সাহস যোগানো।”

সমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে এবং খোলামেলা আদালত সম্প্রচারের কারণে জনগণের সামনে বিচারপ্রক্রিয়া পরিষ্কার হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার ও বিচারব্যবস্থাকে ন্যায়সংগত পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

দলীয় অবস্থান তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, কারও প্রতি অবিচার বা রাজনৈতিক প্রতিশোধ তারা সমর্থন করে না।

পাশাপাশি সম্পদশালীদের সম্পদ কেড়ে নেওয়ার দাবি অস্বীকার করে তিনি জানান, ক্ষমতায় গেলে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং চাঁদাবাজি দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি দাবি করেন, দেশের অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির প্রভাব সরিয়ে দিতে পারলে পণ্যমূল্য অর্ধেকে নেমে আসতে পারে। ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে—এমন পরিবেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সমাজের নানা স্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এটি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে।

বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় বিচারকদের সামাজিক মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ ছিল, কিন্তু সময়ে সেই অবস্থানে ভাটা পড়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

একই সঙ্গে তিনি জানান, দেশের অর্থনৈতিক খাত—ব্যাংক, বীমা, করপোরেশন—দীর্ঘদিন ধরে লুটপাটের শিকার। জনগণের সম্পদ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, সব দেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হবে কিন্তু কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না। স্বাধীন রাষ্ট্রের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি হওয়া জরুরি।

নারী কর্মীদের বিষয়ে তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকা নারীদের প্রতি অধিক সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হলে তারা পরিবারকে সময় দিতে পারবেন, যা সমাজের সামগ্রিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন