

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্খা ছিলো রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার। সেই সংস্কার বাস্তবায়ন না করে নির্বাচন আয়োজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকারের শামিল। জামায়াত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। তাই নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মসূচী পালন করছে। শুধু জামায়াত নয়, দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই দাবিতে আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, এই কর্মসুচী দেখে কেউ কেউ বলেন আমরা না কি নির্বাচন বানচাল করতে চাই। যারা সংস্কার মানেন না, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি চায়না ও পিআর পদ্ধতি মানেনা, প্রকৃতপক্ষে তারাই নির্বাচন বানচাল করতে চায়। নির্বাচন বানচাল নয়, জনআকাঙ্খা বাস্তবায়নে সংস্কার কমিশন যাতে প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে সেজন্যই আমাদের আন্দোলন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়েছে। সুতরাং আর কাউকে ফ্যাসিবাদী হতে দেয়া হবেনা। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ জাতি জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি, ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের দাবী পূরণ করেই ছাড়বে।
তিনি শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি প্রদান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান পয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলে মহানগর ও বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড-ইউনিটের হাজার হাজার জনশক্তি খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস কি জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কঠোর হস্তে দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। একটি বিশেষ দল নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে যেনতেন উপায়ে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্তর্র্বতী সরকারের সংস্কার ও ঐক্যমত্য কমিশনের সকল সিদ্ধান্ত সেই বিশেষ দলের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, সকল সংকট আলোচনার টেবিলে সমাধানে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সেভাবে না চাইলে রাজপথে সমাধানেও আমরা রাজি। জনমত যাছাই করতে চান তাও রাজী, গণভোট দিন। তবুও এই দেশে কাংখিত সংস্কার ছাড়া সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় দিয়ে কাউকে ফ্যাসিবাদী হতে দেয়া যাবেনা।
তিনি আরো বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিনত করেছিল। আইন ও মানবাধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে যখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। ঠিক সেই সময় দেশের ছাত্র-সমাজ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্বিচারে গণহত্যার প্রতিবাদে দেশপ্রেমিক জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। যার ফলে স্বৈরাচারী সরকারের পতন নিশ্চিত হয়। সিলেটের শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র রুদ্র সেন ছিলেন হিন্দু এবং সিলেটের শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব ছিলেন একজন সাংবাদিক। কিন্তু তাদেরকেও জীবন দিতে হয়েছে। কারণ এটি ছিল ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান। ঐতিহাসিক এই গণঅভ্যুত্থানের আইনী ভিত্তি ছাত্র-জনতার অধিকার।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    