

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জুলাই সনদ এবং গণভোট নিয়ে রাজনীতিবিদদের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব হচ্ছে না, এ অবস্থায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আপনারা যেমন আজকের আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছেন, ঠিক একইভাবে আমরাও আজকের এই আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি হতাশার কথা জানান।
রাশেদ খান বলেন, এটা তো আসলে জনগণ কোনোভাবেই প্রত্যাশা করে না। আপনারা সেই আবার আট মাস পেছনে ফিরে যাবেন, যেখানে সামনে ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা জাতিকে একটি সেরা নির্বাচন উপহার দেবে। তবে আমাদের দাবির মধ্যে প্রতিদিন মনে হচ্ছে যে, আমরা মতপার্থক্য তৈরি করছি। এ অবস্থায় আরও এক মাসও যদি আলোচনা চলে তবু কোনোভাবে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো না। রাজনৈতিক দল এব রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা ৯টি রাজনৈতিক দল বসেছিলাম, আলোচনা করেছি। আমরা দেখলাম যে পরবর্তীতে আজকের এই ঐক্যমত কমিশনে তাদের মধ্যে ভিন্নমত। ঐক্যমত কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছিল আপনারা দলগুলো বসেন। আমি আজকে স্পষ্ট করেছি আমরা তো বসেছি। বসার পরে দেখলাম যে আমরা একমতে আসার পরেও এখানে এসে নেতারা এক একজন এক এক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের রাজনীতিবিদদের এই ধরনের চরিত্র জনগণ পছন্দ করে না। আপনি সকালে একটা বলবেন, আপনি বিকেলে একটা বলবেন। আপনি আজকে একটা বলবেন, কালকে একটা বলবেন. এটা হতে পারে না।
রাশেদ খান বলেন, আমরা বলেছি, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস থাকত, তাহলে গণভোটের দরকার হতো না। কিন্তু সেই আস্থা না থাকায় গণভোটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন