

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপি ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে আর ঘুষ বা অনৈতিক উপায়ে নিয়োগের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “অনেক দিন ধরে দেশে একটা বাস্তবতা তৈরি হয়েছে— টাকা ছাড়া শিক্ষক, দপ্তরি বা কনস্টেবলের চাকরি পাওয়া যায় না। আমরা সেই সংস্কৃতি বন্ধ করব। ইনশা আল্লাহ, বিএনপি সরকারে গেলে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতেই চাকরি হবে, কাউকে ঘুষ দিতে হবে না— আমাকে নয়, আমার দলের কাউকেও নয়।”
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ৮ নম্বর মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, “যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায়— তাদের জন্য সতর্কবার্তা রইল। বাংলাদেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ, তারা আর কোনোভাবেই স্বৈরাচারী শাসন মেনে নেবে না। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে, ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে ভোট দিয়ে যারা সংসদে গিয়েছিল, তারা এখন আবার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।”
তিনি জানান, “আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ইনশা আল্লাহ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। অনেকে গায়েবি মামলায় জর্জরিত ছিল, অনেকে বাড়িতে ফিরতে পারেনি, এমনকি খেতে-খামারে রাত কাটাতে হয়েছে। আমি নিজেও ১৪ মাস কারাভোগ করেছি।”
জিয়া পরিবারের ভোগান্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তাঁর জানাজা ও দাফনেও বাধা দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গুরুতর আহত অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন। এখন তিনি বিদেশ থেকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করছেন।”
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সদস্য আবু তাহের, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ঘোড়াঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুস সাত্তার, মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
