মঙ্গলবার
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রাম-৪ এ বিএনপি–জামায়াতের দুই ভাই প্রার্থী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৬ এএম আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ এএম
আজিজুর রহমান (বায়ে) এবং মোস্তাফিজুর রহমান
expand
আজিজুর রহমান (বায়ে) এবং মোস্তাফিজুর রহমান

‎আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী-চিলমারী-রাজীবপুর) আসনে এক নজিরবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিবারের দুই ভাই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে, অন্যজন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে। ‎ ‎সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিজুর রহমানের নাম। ‎ ‎অপরদিকে, একই আসনে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আজিজুর রহমানের ছোট ভাই, রৌমারী উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সাবেক আমির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে। ‎ ‎দুই ভাইয়ের এই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন পুরো এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সব জায়গায় এখন এই ভাই-ভাই লড়াই নিয়েই চলছে তুমুল আলোচনা। ‎ ‎কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন ৯ জন। ‎ ‎এলাকার একজন প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী বলেন, “রৌমারী-চিলমারী-রাজীবপুর ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। ভাইয়ের বিপরীতে ভাই এটা নির্বাচনি মাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।” ‎ ‎জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, “আমার বড় ভাই বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন পেয়েছেন। যদি তিনি চূড়ান্ত প্রার্থী হন, তবুও তিনি আমাকে পরাজিত করতে পারবেন না। কারণ জামায়াতের জনপ্রিয়তা এখন অনেক বেড়েছে। দুই ভাই প্রার্থী হলেও নির্বাচনে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।” ‎ ‎‎অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আজিজুর রহমান জানান, “আমার ছোট ভাই একসময় বিএনপির রাজনীতি করত। আমার হাত ধরেই সে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে জামায়াতে যোগ দিয়ে এখন সেই দলের প্রার্থী হয়েছে।” ‎ ‎‎তিনি আরও বলেন, “আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না করা হলে আমার পারিবারিক প্রভাবের কারণে আমার ছোট ভাই নির্বাচনে সুবিধা পেত। কিন্তু এখন মাঠের চিত্র ভিন্ন। জনগণ আমাকেই চায়, কারণ আমি সব সময় তাদের পাশে থেকেছি।” ‎ ‎‎রৌমারী, চিলমারী ও রাজীবপুরে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। দুই ভাইয়ের এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল ও উত্তেজনা দুটোই কাজ করছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন