

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশের শত্রুরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর দাবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সময় যত যাচ্ছে, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রচেষ্টা ততই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির একটি পরিকল্পিত প্রচারণা চলছে।
তিনি আরও বলেন, এখনকার পরিস্থিতিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ আজ সংকটময় সময় অতিক্রম করছে, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জনগণকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে বলেন, খালেদা জিয়া যেভাবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই আদর্শ ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজ তারেক রহমান তরুণদের নেতৃত্ব দিয়ে নতুন আশার সঞ্চার করছেন।
এর আগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দিবসটিকে সামনে রেখে দলের ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ করা হবে। একই দিন বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন থেকে র্যালি বের করা হবে, যা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজন করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একইভাবে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোও পৃথক কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে রয়েছে—৫ নভেম্বর শ্রমিক দলের আলোচনা সভা, ৮ নভেম্বর ছাত্রদলের আলোচনা সভা ও টিএসসিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ৯ নভেম্বর এতিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবে ওলামা দল, ১০ নভেম্বর তাঁতী দলের আলোচনা সভা, ১১ নভেম্বর কৃষক দলের আলোচনা সভা এবং ১৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে।
৬ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য তুলে ধরে ডকুমেন্টারি ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে। একইসঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার ও ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করবে দলটি।
৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হয়েছিল। সেই দিনই বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচিত হয়—যেখানে দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ মিলে জাতির স্বাধীনতার পথকে শক্তিশালী করে।
মন্তব্য করুন
