

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা সরাসরি নির্বাচনের জন্য সেই ১৯৭০ থেকে যুদ্ধ করছি যে এক ব্যক্তি এক ভোট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টি হলো। অথচ সেই ব্যবস্থাকে আমরা অস্বীকার করার জন্য আবার পিআরের নামে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করছি। এখানে দলীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হবে ব্যক্তি স্বৈরতন্ত্র।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘বাংলাদেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব: অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নাকি রাজনৈতিক অস্থিরতার পথে অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল’ স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটরিয়ামে এ আয়োজন করা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বলা হয়েছিল নির্বাচনে প্রত্যেক দল প্রার্থীর প্রার্থিতা ঘোষণা করবে। প্রত্যক্ষভাবে মনোনয়ন দেবে। এরপর বিধিবিধান অনুযায়ী তারা নির্বাচন করবেন। জনগণ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বা প্রতীক দেখে ব্যক্তি বিবেচনায় ভোট দেবেন। এটা জনগণের অধিকার। যদি পিআরের কথা বলা থাকে তাহলে এখানে বলতে হবে যে স্বৈরতন্ত্রের অবসানের জন্য আমরা যে অভ্যুত্থান করলাম, সেটা কি আবার প্রতিষ্ঠিত হবে না?
বিএনপির এই নেতা বলেন, পিআরের মধ্য দিয়ে প্রতীককে ভোট দিলে সেই দল কাকে এমপি নির্বাচিত করবে তা জনগণ জানবে না। জানবে সেই দলের সুপ্রিম লিডার প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি অথবা মজলিসে শূরা। তারা কাকে এমপি নির্বাচিত করবে তা কোনো জনগণ জানবে না। তাহলে স্বৈরতন্ত্রটা প্রতিষ্ঠিত করল দলের নেতা।
তিনি আরও বলেন, উন্নত অনেক দেশেই পিআর ব্যবস্থা আছে, তবে সেসব দেশের জনসংখ্যা তুলনামূলক কম। কোথাও কোথাও জনসংখ্যার ভিত্তিতেও পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো শক্তিশালী স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, কবে গড়ে উঠবে তাও অনিশ্চিত। তাই দেশের পরিস্থিতি ও বাস্তবতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণ জানতে চায়, তাদের ভোটে কে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলো, কারণ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি জবাবদিহি থাকতে হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, যদি জনগণ ভোটের পরেও না জানে তাদের এমপি কে হয়েছেন, তাহলে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না, জনগণের অধিকারও সুরক্ষিত থাকবে না। পিআর পদ্ধতিতে আরও নানা ঝুঁকি আছে—এতে সরকার সবসময় অস্থিতিশীল থাকতে পারে, রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে পারে, যা পার্শ্ববর্তী দেশ বা বাংলাদেশের কল্যাণ চায় না এমন শক্তির জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।
সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল’ স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    