

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শুধু বিএনপিই নয়, জামায়াতেও চাঁদাবাজ রয়েছে। কিন্তু বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে চাঁদাবাজ ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে, প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বিএনপি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরেও দলটিকে টার্গেট করেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুমিন ফারহানা।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘একটা পরিবর্তন দেখাই, আমরা দীর্ঘ ৫৩ বছর অস্বীকারের সংস্কৃতি দেখেছি। আমরা কিন্তু অস্বীকার করি নাই, আমরা স্বীকার করেছি। আমি তো বিএনপির পদধারী একজন কর্মী, আমি কি চাঁদাবাজি নিয়ে অন এয়ারে কথা বলিনি? ৪৫০০ বহিষ্কার আমরা করিনি? আমাদের চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতারা কেউ কেউ কি জামায়াতে ইসলামে গিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়নি? সেই খবরও তো গণমাধ্যমে এসেছে।
সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক টক শোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৬৫০-এর ওপর কিন্তু জামায়াতও বহিষ্কার করেছে। আমি আপনাকে বলব এই যে বিএনপির ৪৫০০ বহিষ্কার বা ৪০০০ বহিষ্কার আর জামায়াতের একজনও বহিষ্কার- দুটোর মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য। কেন পার্থক্য? কারণ বিএনপি একটা বিরাট দল একোমোডেটিভ পার্টি। সবাই মনে করে, বিএনপি নির্বাচন হলেই ক্ষমতায় যাবে।
জামায়াত চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করে না উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘আমাদের ৪ হাজার আর ওনাদের ৬০০ বহিষ্কার। তো ওনারা তো সৎ লোকের শাসন চাচ্ছে। তাহলে ৬০০ চাঁদাবাজ কোথা থেকে এলো। জামায়াতে ইসলামের কেউই কখনো স্বীকার করে না যে তাদের দলের ভেতরে চাঁদাবাজ আছে। তারা কোনো দিন সেটা স্বীকার করবে না।’
বিএনপিকে টার্গেট করে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে দাবি করে রুমিন আরো বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন দিয়ে আপনি পুরো বাংলাদেশের যদি বিচার করে ফেলেন, তাহলে তো ভুল হবে। বিএনপিকে চাঁদাবাজ লেভেল দেওয়া হচ্ছে, প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। প্রোপাগান্ডা ওয়ার্ক ভেরি স্ট্রংলি। আপনি একটা মিথ্যা একবার বললেন। একবার-দুইবার-পাঁচবার ১০ বার ৫০ বার ১০০ বার যখন আপনি সেটা বলবেন, মানুষ সেটা বিশ্বাস করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটা যখন খুলবেন আপনি দেখবেন এটা পুরোপুরি ফার রাইটদের দখলে এবং ফার রাইটরা শুধু যে নিজেদের কথা প্রচার করছেন বা আমাকে আপনাকে গালাগাল করছেন তাই নয়, ফার রাইটরা কিন্তু ছোট ছোট নিউজ পোর্টাল খুলছেন এবং সেখানে তারা বিএনপি কোথায় কী করছে না করছে সেগুলো তুলে ধরছেন। কিন্তু আমি জানি না বিএনপি কেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার শক্ত অবস্থানটা জানান দিতে পারছে না।’
সবাই বিএনপির সঙ্গে আসতে চায়, থাকতে চায়। মনে করে যে দুদিন পর নির্বাচন হলে ক্ষমতায় যাবে। সো নানা রকমের মানুষের একটা বড় মেলা হচ্ছে বিএনপি। জামায়াত তো সৎ লোকের শাসন চায় সৎ ব্যক্তির শাসন চায়। তাদের এখানে কী করে ৬৫০-এর ওপরে চাঁদাবাজির জন্য বহিষ্কার হয়ে যায়! আমি এখন যে কথাগুলো বলছি না এগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে যে উত্তরগুলো আসবে, তখন কিন্তু তারা শরিয়া আইন ফলো করবে না।
শরিয়া আইনে আপনি একজন অচেনা অজানা নারী সম্পর্কে যা-তা বলে ফেলবেন। এটা কিন্তু শরিয়া আইনে এইভাবে হয় না। শরীয়া আইনে এটা পারমিটেড না। কিন্তু আপনি দেখবেন ওটা হচ্ছে। এই দ্বিচারিতার তো হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যায়।’
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    