

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফেনীর পরশুরামের খন্ডল মিষ্টি দেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির মধ্যে একটি, যা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে।
খন্ডল মিষ্টির বর্তমান মালিক মো. বেলাল হোসেন জানান, ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পরশুরাম সফরে এসে খন্ডল মিষ্টি খেয়ে তার স্বাদ প্রশংসা করেছিলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছেন বেলাল আহমদ পাটোয়ারী।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খন্ডল মিষ্টি মূলত খন্ডল হাই বাজারে উৎপাদিত হয় এবং গরুর দুধের ছানা, ময়দা ও চিনি ব্যবহার করে ভেজালমুক্তভাবে তৈরি করা হয়।
মিষ্টি তৈরির প্রক্রিয়া অনুসারে, ১৭ কেজি দুধ থেকে ২ কেজি ছানা পাওয়া যায়। শুকানো ছানায় সামান্য ময়দা মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করা হয়, এরপর ৫ কেজি চিনি ও পানি দিয়ে তৈরি সিরায় আধঘণ্টা জ্বাল দিয়ে মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। খন্ডল মিষ্টি মূলত রসগোল্লার একটি ভিন্ন রূপ।
পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের খন্ডল হাই বাজারে প্রথম তৈরি হয় এই মিষ্টি। সত্তরের দশকে কবির আহমদ পাটোয়ারী ও মিষ্টির কারিগর যোগল চন্দ্র দাসের হাত ধরে মিষ্টির যাত্রা শুরু হয়। বাজারের নাম অনুসারে মিষ্টির নামকরণ করা হয় ‘খন্ডল মিষ্টি’। নব্বইয়ের দশক থেকে এর সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
বর্তমানে খন্ডল মিষ্টির নকল বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হওয়ায় ঐতিহ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বেলাল হোসেন আশা করছেন, জিআই স্বীকৃতি পেলে এই ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ঐতিহ্যবাহী খন্ডল মিষ্টির জিআই স্বীকৃতির জন্য আমরা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। একটি ভালো পণ্য শুধুমাত্র অর্থ নয়, সেই স্থানকেও টিকিয়ে রাখে। পাশাপাশি পরশুরামের আখের গুড়কেও জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
