

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামায়াতে ইসলামীর লোগো পরিবর্তন, জামায়াত কি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থেকে সরে আসছে, তারা কি প্রগতিশীল রাজনীতির পথ বেছে নিতে চাইছে- এমন আরও কয়েকটি বিষয়ে দলটির অবস্থান স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম-সম্পাদক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘জাহেদস টেইক’-এ তিনি বলেন, জামায়াত যে তাদের ইসলামী রাজনীতি হঠাৎ ভাটা দিয়ে মধ্যপন্থী কল্যাণমূলক পথে যেতে শুরু করেছে সেটি স্পষ্ট। তারা এখন এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দিচ্ছে, যারা হিজাব পরেন না, পুরুষ প্রার্থীরা প্রচলিত পোশাকে ঘোরেন। জামায়াত তাদের প্রতিক্রিয়াশীল এক ধরনের রক্ষণশীল রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসছেন বলে অনেকে প্রশংসা করছেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, জামায়াতের পুরনো লোগোতে ছিল গম্বুজ, ‘আল্লাহ’ লেখাসহ ‘দ্বীন কায়েম করো’ এসব স্পষ্টভাবে দেখা যেত। নতুন লোগোয় সেই উপাদানগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিছু সংবাদে বলা হয়েছে, কলমের দিকে আল্লাহু লেখা থাকতে পারে, কিন্তু প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
তিনি প্রশ্ন করেন, জামায়াত কি তার নিজের রাজনীতির ওপর লজ্জা পাচ্ছে? তারা নামে ‘ইসলাম’ রেখে মধ্যপন্থী রাজনীতি করছে। জামায়াতকে অফিশিয়ালি বলতে হবে তারা শরিয়া কায়েম করবেন কি করবেন না? নামের সাথেই যদি ইসলাম থাকে, তাহলে তার সঙ্গে তার রাজনীতির সমন্বয় জনগণের সামনে স্পষ্ট হওয়া দরকার।
রাজনৈতিক এই বিশ্লেষক আরও বলেন, জামায়াতের প্রতি এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন উঠে এসেছে, তারা কি এখনও ইসলামী রাজনীতির ধারায় আছে? তারা কি এখনও শরিয়া আইন কায়েমে আগ্রহী? কারণ, শরিয়া বিষয়ে ইসলামী দলগুলোর মধ্যেই মতপার্থক্য রয়েছে। একেক দল একেকভাবে ব্যাখ্যা করে, এমনকি কেউ কেউ অন্য দলের শরিয়া ব্যাখ্যাকে বাতিল বলে, একে অপরকে ধর্মচ্যুত করতেও পিছপা হয় না। এই প্রেক্ষাপটে, জামায়াত শরিয়া বলতে কী বোঝে, তা স্পষ্টভাবে জানানো জরুরি। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরে দেশের রাজনীতিতে জামায়াতের সম্ভাব্য নতুন অবস্থানকে কেন্দ্র করে আলোচনা চলছে।
জাহেদ উর রহমান বলেন, জামায়াত যদি সত্যিই নতুন রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে সামনে আসতে চায়, তাহলে তাদের উচিত নতুন লোগো পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় তারা যে দিকটি নিচ্ছে, সেটির রাজনৈতিক ও আদর্শিক অবস্থান স্পষ্টভাবে জাতির সামনে তুলে ধরা। জনগণের অধিকার আছে জানার, তারা আদতে কী রাজনীতি করছে এবং ভবিষ্যতে কোথায় যেতে চায়।
মন্তব্য করুন
