

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হিজরতের ঘটনা থেকে মুসলমানদের জন্য তাওয়াক্কুলের ব্যবহারিক শিক্ষা তুলে ধরেছেন।
তিনি লিখেছেন, আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা মানেই নিষ্ক্রিয়ভাবে অপেক্ষা করা নয়; বরং ঈমান, বুদ্ধি ও কৌশলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেই প্রকৃত তাওয়াক্কুল প্রকাশ পায়।
হিজরতের কৌশল: ঈমানের সাথে বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা
মক্কার কাফিররা যখন নবীজিকে (সা.) হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে হিজরতের নির্দেশ আসে। নবীজি (সা.) শত্রুদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন—তিনি তাঁর চাচাতো ভাই হযরত আলী (রা.)-কে নিজের শয্যায় শুইয়ে দেন এবং মদিনার উত্তর দিকে না গিয়ে দক্ষিণের পথে রওনা দেন।
সহচর হযরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে তিনি গারে সাওর গুহায় কয়েকদিন অবস্থান করেন। সঠিক সময়ে, নিরাপদ পথ বেছে নিয়ে তাঁরা মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা সম্পন্ন করেন।
তাওয়াক্কুলের সঠিক রূপ
আজহারীর ভাষায়, “আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা মানে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা নয়। প্রজ্ঞা ও কৌশলের ব্যবহার করে আল্লাহর পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, নবীজির জীবনের প্রতিটি ঘটনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে এর মধ্যে লুকানো প্রজ্ঞা বা হিকমাহ স্পষ্ট হয়। ইসলামি শিক্ষায় যাকে বলা হয় ফিকহুস সিরাহ—নবীজির জীবনঘনিষ্ঠ ঘটনাগুলো থেকে অন্তর্দৃষ্টি ও পথনির্দেশ গ্রহণ করা।
মুসলিম জীবনের দিকনির্দেশনা
আজহারী আহ্বান জানান, মুসলিমদের উচিত সিরাত অধ্যয়ন করে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। তাঁর মতে, নবীজির জীবনচর্যা থেকে পাওয়া প্রজ্ঞা আমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতার পথ উন্মোচন করে।
তাঁর বার্তার মূল শিক্ষা হলো—আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে সঠিক পরিকল্পনা, বুদ্ধিমত্তা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়াই প্রকৃত সফলতার চাবিকাঠি। নবীজির জীবন মুসলিম উম্মাহকে সেই আলোকিত দিশা দেয়, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথ দেখায়।
মন্তব্য করুন