ভূমিকম্পে সারাদেশে ১০ জনের মৃত্যু

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীকে কেন্দ্র করে হওয়া এই কম্পনে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রাজধানীর বংশালের কসাইটুলী এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে তিন পথচারী নিহত হন। হতাহতদের মধ্যে বাবা–ছেলে হাজি আব্দুল রহিম (৪৭) ও মেহরাব হোসেন রিমন (১৩) রয়েছেন। একই ঘটনায় মা–এর সঙ্গে বাজার করতে এসে প্রাণ হারান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি। তার মা নুসরাত গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। বংশাল থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া রাজধানীর মুগদার মদিনা বাগ এলাকায় ভূমিকম্পের সময় নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে পড়ে মাকসুদ (৫০) নামে এক নিরাপত্তাকর্মী মারা যান।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ এলাকায় একটি টিনশেড বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে এক বছর বয়সি শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হন। ঘটনাটি রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় ভূমিকম্পে বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ে ওমর (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওমরের চাচা জাকির হোসেন জানান, ভূমিকম্প শুরু হলে দেলোয়ার তিন সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখনই সানশেড ভেঙে তাদের ওপর পড়ে। হাসপাতালে নেয়ার পর ওমরকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং ঢাকা মেডিকেলে তার বাবার মৃত্যু হয়। বিষয়টি ঢামেক ফাঁড়ির ওসি মো. ফারুক নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া পলাশ উপজেলার মালিতা গ্রামে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে কাজীরচর নয়াপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের আজকীতলা গ্রামের ফোরকান মিয়া (৪৫)—তিনজনই ভূমিকম্পজনিত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।