

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতরভাবে দগ্ধ ১২ বছরের আরিয়ান আফিফ দীর্ঘ ১২২ দিনের কঠিন লড়াই শেষে অবশেষে মায়ের কোলে ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে হাসিমুখে বাসায় ফিরে যায় ছোট্ট এই বীরযোদ্ধা।
গত জুলাই মাসে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পর শরীরের ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রথম আট দিন তাকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। আইসিইউ ও এরোনারি কেয়ার ইউনিটে কাটানো দিনগুলো ছিল অত্যন্ত সংকটপূর্ণ—চিকিৎসকদের আশঙ্কাও ছিল তীব্র। তবু হাল ছাড়েনি আরিয়ান।
রোজ রোজ ছোট-বড় ৩৪টি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। প্রতিটি অপারেশন ছিল নতুন এক লড়াই। ত্বক প্রতিস্থাপন থেকে গ্রাফটিং—সবকিছুর মধ্যেই মৃত্যুর ছায়া ছিল। কিন্তু আরিয়ানের বাঁচার ইচ্ছাশক্তি ও চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সে আজ নিজ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছে।
হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কান্না থামাতে পারেননি আরিয়ানের মা। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আর কখনো ছেলেকে বাসায় আনতে পারব না। ও না থাকায় বাসার দরজা বন্ধ ছিল—আজ তা আবার খুলল।”
ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন জানান, আরিয়ানের চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। শারীরিক দগ্ধের পাশাপাশি মানসিক আঘাত থেকেও তাকে সুস্থ করে তুলতে হয়েছে। টানা তিন দিনসহ মোট আট দিন তাকে আইসিইউতে ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়েছিল।
চিকিৎসকেরা জানান, বাড়ি ফেরার পরও নিয়মিত ফলোআপ ও প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা আরিয়ানকে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
