

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অন্তর্বর্তী সরকারের কাজকর্ম নিয়ে চলা সমালোচনা ও ব্যঙ্গের প্রেক্ষাপটে তার সাফল্য তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি জানান, কেন এই সরকার মাত্র ১৫ মাসে অন্যান্য সরকারের তুলনায় সফলতা পেয়েছে।
প্রেস সচিব লিখেছেন, “নামেই অন্তর্বর্তী সরকার, কিন্তু কাজের দিক থেকে এটি কার্যত গ্রাম-স্তরের এনজিও-ধাঁচের প্রশাসন।
অনেকের চোখে এটি ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্বল সরকার। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি ট্যারিফ চুক্তিতে এগোতে চায়নি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সর্বমোট ৫০০ দিনের মধ্যে ১৭০০-এর বেশি বিক্ষোভের সময়ও তারা রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
নবীন ও অদক্ষ হওয়ার কারণে আইন পাশ করা বা প্রয়োগ করতেও তারা হিমশিম খাচ্ছে। ছোট ও অজ্ঞাত গোষ্ঠীর চাপেও সরকার বারবার ন্যুয়ে পড়েছে।
তবে পেছনে তাকালে দেখা যায়, এটি বহু দশকের মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সরকারের একটি।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, এই সরকারের আমলে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, বিপ্লব-পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলা বন্ধ হয়েছে, মার্কিন ট্যারিফ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, রেকর্ডসংখ্যক আইন পাশ হয়েছে এবং শ্রম সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি হাইলাইট করেন—
১। জুলাই ঘোষণাপত্র ও চার্টারের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতার নতুন মঞ্চ তৈরি হয়েছে।
২। সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে ন্যায্যতা নিশ্চিত হয়েছে।
৩। লালদিয়া টার্মিনালের চুক্তি বিশ্বমানের বিনিয়োগের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
৪। বৈদেশিক নীতি বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিকের কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
৫। অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং ব্যাংকিং খাতে লুটপাট কমেছে।
৬। অতীতের অপব্যবহারের বিচার শুরু হয়েছে।
৭। গুম ও রাজনৈতিক হেনস্তা বন্ধ হয়েছে, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে এসেছে।
৮। র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রেস সচিব লিখেছেন, “এমন কোনো সরকার নেই, যা ১৫ মাসে এতগুলো অর্জন করতে পেরেছে, যা এই অন্তর্বর্তী সরকার করেছে।”
মন্তব্য করুন
