

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হক হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জরেজুল ইসলাম ও তার প্রেমিকা শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জাতীয় ঈদগাহের পাশে দুটি ড্রামে লাশের অংশ উদ্ধার হওয়ার পর মামলাটি তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দুজনকে গ্রেপ্তারের পর পৃথক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ও পুলিশ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছে।
র্যাবের দাবি, শামীমা ও জরেজুলের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তারা মিলে আশরাফুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে ১০ লাখ টাকা ব্ল্যাকমেইল করার পরিকল্পনা করেছিল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী শামীমা এক মাস ধরে ফোনে আশরাফুলকে আকৃষ্ট করেন এবং পরে জরেজুলের সঙ্গে তাকে ঢাকায় এনে শনির আখড়ায় একটি ভাড়া বাসায় ওঠান। সেখানে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে অচেতন করে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করা হয়।
এরপর ১২ নভেম্বর দুপুরে আশরাফুল অচেতন হয়ে পড়লে জরেজুল তার হাত বেঁধে মুখে টেপ লাগান এবং উত্তেজিত হয়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, ঘটনাটি মূলত ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতা থেকে ঘটে। মালয়েশিয়া প্রবাসী জরেজুল ‘বিগো লাইভ’-এ শামীমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন, যা জানার পর জরেজুলের স্ত্রী স্বামীর বন্ধু আশরাফুলকে অনুরোধ করেন বিষয়টি সমাধান করতে।
কিন্তু আশরাফুল নিজেই শামীমার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন এবং জাপানে পাঠানোর জন্য জরেজুলের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে তিনজন একসঙ্গে ঢাকায় এসে একটি বাসা ভাড়া নেন এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু আশরাফুল শামীমাকে অস্বাভাবিক যৌন আচরণে বাধ্য করার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এসময় জরেজুল ক্ষিপ্ত হয়ে হাতুড়ি দিয়ে আশরাফুলকে আঘাত করেন এবং শামীমা ওড়না ও টেপ দিয়ে তার মুখ বেঁধে দেন, ফলে শ্বাসরোধ ও আঘাতে তার মৃত্যু হয়। দুই সংস্থার বিবরণে পার্থক্য থাকলেও দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্য করুন
