

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পে কমিশনের সদস্যরা এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা কাটাচ্ছেন।
গত ৩০ অক্টোবর বিভিন্ন সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তারা সব প্রস্তাব ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রস্তুত করছেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই সরকারের মেয়াদে নতুন পে স্কেল কার্যকর নাও হতে পারে। কারণ, ডিসেম্বরের মধ্যভাগ থেকে নির্বাচনের তফসিল, রোডম্যাপ এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হলে সরকারের পক্ষে নতুন স্কেলে নজর রাখা কঠিন হয়ে যেতে পারে। এছাড়া বাজেট ঘাটতিও বড় বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই অবস্থায় সরকার একদিকে নির্বাচনের চাপের মধ্যে থাকবে, অন্যদিকে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি মোকাবিলায়ও চাপের মুখে পড়বে। তাই হয়তো শুধু আলোচনা করেই সময় পেরিয়ে যাবে।
এর আগে পে কমিশনের সভাপতি ও সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান জানিয়েছেন, “কার্যক্রম দ্রুতগতিতে চলছে, আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে পারব।” তবে কমিশনের এক সদস্য উল্লেখ করেছেন, তাদের দায়িত্ব শুধুমাত্র সুপারিশ দেওয়া পর্যন্ত, বাস্তবায়নের নয়।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকার চায় এই মেয়াদেই নতুন পে স্কেল কার্যকর করতে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যে সুপারিশ জমা পড়লে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন
