

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে গঠিত পে কমিশন সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় কার্যক্রম শেষ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত চলা এই মতবিনিময়ের মাধ্যমে কমিশনের মাঠপর্যায়ের আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়।
যদিও নতুন পে স্কেল কবে ঘোষণা করা হবে, সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানানো হয়নি। তবে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে মতামত গ্রহণের পর বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনাও সম্পন্ন হয়েছে।
সংগঠনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কমিশনের সদস্যরা তিন ভাগে ভাগ হয়ে মতবিনিময় করেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, অনলাইনে দুই হাজারের বেশি সংগঠন মতামত জমা দিয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে ২৫০ থেকে ৩০০ সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও পে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান সরকার জানান, অনলাইনে মতামত নেওয়া শেষ হয়েছে ১৫ অক্টোবর, আর সমিতিগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ হয় ৩০ অক্টোবর। এখন আমরা বসে সব মতামত পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরির দিকে যাচ্ছি।
কর্মচারী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, তারা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ চূড়ান্ত করে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। কমিশন গঠনের সময়ই সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুপারিশ চূড়ান্ত করে জমা দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
কমিশনের একাধিক সদস্যের মতে, এবার পে কমিশনের মূল লক্ষ্য বেতন বৈষম্য কমানো। এজন্য বিদ্যমান গ্রেড কাঠামো পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তার ভাষায়, গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে বৈষম্য কমানো হবে, এটি নিশ্চিত। তবে চূড়ান্তভাবে কতটি গ্রেড থাকবে এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত কী হবে, তা সুপারিশ প্রকাশের সময় জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
