

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রকাশক নূর মোহাম্মদ আবু তাহের জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে তিনি র্যাব-২-এর হেফাজতে আটককালে শারীরিক নির্যাতন প্রত্যক্ষভাবে পাননি; তবে আটক অবস্থায় মানসিক কষ্ট, অপমান ও চাপের মধ্যে পড়তে হয় তাকে।
শুক্রবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বিস্তারিতভাবে ওই ঘটনার স্মৃতি ভাগ করেছেন।
তিনি জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে মতিঝিলের গার্ডিয়ান অফিস থেকে তাকে তুলে নিয়ে র্যাব-২-এর কার্যালয়ে রাখা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে অনলাইনে সরকারি বিরোধী মিথ্যা লিংক তৈরি ও ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়।
র্যাবের কর্মকর্তা—পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী—তার কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে কড়া ভাষায় আচরণ করেন এবং প্রাথমিকভাবে কঠোর কথাবার্তা বলার পাশাপাশি চাপ সৃষ্টি করেন।
তাহের আরও বর্ণনা করেন, তার চোখ বেঁধে অন্য রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে; এমন একটি কক্ষ দেখেছেন যেখানে হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের প্রযুক্তি রাখা ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে আটকাবস্থায় থাকা আর অনিশ্চয়তার কারণে তিনি অত্যন্ত আতঙ্কিত ছিলেন।
পরে ওই কিছুকালীন কথাবর্তায় কর্তৃপক্ষ তার পরিচয় ও রাজনৈতিক ইতিহাস জানতে চান; কথা বলার পর কিছুটা আলাপচারিতায় পরিস্থিতি নরম করা হয় এবং তাকে পুনরায় গারদে ফেরত পাঠানো হয়।
র্যাব-২-এর গারদে অবস্থানকালে পাশে থাকা কোনো কনস্টেবল গোপনভাবেই তাকে কিছু সঙ্কেত দেন এবং পরে তাদের মাধ্যমে সাংবাদিক ও তার সংগঠন খবরটি জানতে পারে।
সংবাদ ও সংগঠনের উপস্থিতির পর তাকে আদালতে তোলা হয়; এক পর্যায়ে কোর্ট রিমাণ্ড বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠায়। সেই সময় তার একমাত্র শিশুটি মাত্র আড়াই মাস বয়সী ছিল এবং স্ত্রীর সঙ্গে ছেলে নিয়ে তার পরিবার ঢাকা এসেছিলেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, সে সময় র্যাবের একজন অফিসার তার স্ত্রী ও শাশুড়ীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে, তার স্বামীর সঙ্গে থাকা অমাননীয় এবং তাকে (স্বামীকে) ভুলে গিয়ে ডিভোর্স করে নতুন কোনো বিয়ে ভাবতে।
তাহের এই আচরণকে পরিবারের কাছে অপমানজনক ও ছিল অমানবিক বলে বিবেচনা করেছেন। তাঁর বিবরণ অনুযায়ী, পরিবারিক ও মানসিক কষ্টের তীব্রতা এখনও মুছে যায়নি।
তাহের তার পোস্টে কিছু পুলিশ ও বন্ধু বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন—যারা ঝুঁকি নিয়ে তাকে সহায়তা করেছেন।
তিনি আবারও বলেছেন, গ্রেফতারের আগে ও পরে যে মানসিক ও পারিবারিক ক্ষতি হয়েছে তা মুছে ফেলা সহজ নয় এবং এই ঘটনার স্মৃতি তাঁর ও তাঁর পরিবারের ওপর গভীর প্রভাব রেখেছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    