শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
যাত্রাবাড়িতে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই

'মরার আগে ভাই বলেছে এসি বিস্ফোরণ হয়েই আগুন ছড়িয়েছে'

এনপিবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
মৃত্যু হওয়া তুহিন হোসেনের (৩৮) ছোট ভাই মো. মাহিন
expand
মৃত্যু হওয়া তুহিন হোসেনের (৩৮) ছোট ভাই মো. মাহিন

রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ধলপুরে এসি বিস্ফোরণের দুর্ঘটনায় পাঁচদিন পর করুণ মৃত্যু হওয়া তুহিন হোসেনের (৩৮) ছোট ভাই মো. মাহিন অভিযোগ করে জানায়, আমার ভাই মুত্যুর আগে আমাকে বলেছে এসি থেকে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়ে পুরো ঘরে আগুন লাগে।

আজ শনিবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে এসি বিস্ফোরণ নিয়ে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের পর এনপিবি নিউজকে এ কথা জানান তিনি।

মো. মাহিন জানান, এতো কিছু হয়ে গেল আমার ভাইয়ের মুত্যুর তিনদিন পার হলো। এখনো সেই এসির কোম্পানী ভিশন ইলেকট্রনিক্স থেকে আমাদের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। তারা কোন খবর নেয় না। এখন তারা বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। তারা বলেছে আমরা নাকি নাটক করছি। আমার ভাই মারা গেছে এখানে নাটকের কি আছে? তারা (ভিশন) চাচ্ছে টা কি?

সামাজিক মাধ্যমে একটি নিউজের মাধ্যমে আমাদের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। মানুষ ভাবতে পারে আমরা ভুল তথ্য জানাচ্ছি। কিন্তু আমার ভাইয়ের বাসায় গিয়ে তদন্ত করলে আসল তথ্য বের হয়ে আসবে। বাসার রান্না করার চুলার গ্যাসে কোন সমস্যা ছিল না। সেখানে সব কিছু ঠিকঠাক আছে। এসি বিস্ফোরণ হয়ে দুই রুমের দরজা খুলে যায়। পুরো ঘরে আগুন ধরে।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে আমার পরিবারের তিনজন মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এখানে প্রতিনিয়িত আমাদের টাকা খরচ হচ্ছে। আর ভাইয়ের ছেলের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আমি মামলার প্রস্তুতি নিবো।

এদিকে আজ শনিবার যাত্রাবাড়ি ধলপুরে সেই বাড়ীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই রুমের ফ্লাটের বাসার বেডরুমে ভিশনের এসিটি লাগানো ছিলো। এসির একদিক বাকা ও ফাটল ধরার দৃশ্য দেখা যায়। এসির নিচে থাকা সোফা কিছুটা আগুনে পুড়ে গিয়েছে। বেডসিটেও লেগে আছে আগুনের কালো ছাপ। বাসাতে কোন গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় না, তারা যে চুলায় রান্না করতে সেটি গ্যাসের চুলা।

সার্বিক বিষয়ে ভিশন ইলেকট্রনিক্স এসি বিস্ফোরিত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের ডেপুটি মার্কেটিং ম্যানেজার মনজুরুল খান মিনার বলেন, আমি আপানাকে (প্রতিবেদক) একটি লিঙ্ক পাঠাচ্ছি ওয়াটাস অ্যাপ এ। সেটি দেখতে পারেন। আর কোন প্রশ্ন থাকলে সেটি আপনি আমাদের সিনিয়র পাবলিক রিলেশন অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান অথবা কর্তৃপক্ষের কারো সাথে কথা বলতে পারেন। তবে মো. তৌহিদুজ্জামানের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ধলপুরে এসি বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে মুত্যুর সাথে লড়াই করে পাঁচদিন পর করুণ মৃত্যু হয় তুহিন হোসেনের (৩৮)। একই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হন তুহিন হোসেনের স্ত্রী ইভা আক্তার ও তার দুই সন্তান। এখনো তুহিনের স্ত্রী ইভা ৮ শতাংশ, দুই ছেলে তাওহীদ ১৫ শতাংশ এবং তানভীর ৪৭ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন