

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে দেশটিতে পাঠানো হচ্ছে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর)।
দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালত জয়ের নামে থাকা সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। এই আদেশ বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রে এমএলএআর পাঠানো হচ্ছে।
দুদকের নথি অনুযায়ী, জয়ের নামে ভার্জিনিয়া রাজ্যে দুটি বাড়ি রয়েছে।
গ্রেট ফলস এলাকা: ২০২৪ সালের ৩ জুন এই বাড়ির মূল্য নির্ধারিত হয় ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা)।
ফলস চার্চ এলাকা: ২০১৪ সালের ৫ মে বাড়িটির মূল্য ধরা হয় ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৫ মার্কিন ডলার (প্রায় ৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা)। সব মিলিয়ে বাড়ি দুটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
এ ছাড়া জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত আটটি বিলাসবহুল গাড়ির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস-ক্লাস (২০১৫), ম্যাকলারেন ৭২০ এস (২০১৮), ল্যান্ড রোভার (২০১৬), লেক্সাস জিএক্স ৪৬০ (২০১৫)। এসব গাড়ির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯২৪ মার্কিন ডলার (প্রায় ৫ কোটি টাকা)। আদালত ইতোমধ্যে গাড়িগুলো জব্দের অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, জয়ের নামে অন্তত ১২টি ব্যাংক হিসাব ও ৬টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানিগুলো হলো গোল্ডেন বেঙ্গল প্রডাকশন্স এলএলসি, প্রাইম হোল্ডিং এলএলসি, ওয়াজেদ ইন অসিরিস ক্যাপিটাল পার্টনার্স এলএলসি, ব্লু হ্যাভেন ভেঞ্চারস এলএলসি, ট্রুপে টেকনোলজিস এলএলসি প্রভৃতি। ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে সাতটি এসব কোম্পানির নামে এবং পাঁচটি জয়ের ব্যক্তিগত, যার একটি যৌথভাবে খোলা হয়েছে তার সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে।
গত ১৪ আগস্ট সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয়করের বাইরে বিপুল অর্থ উপার্জন করে তিনি হুন্ডি ও অন্যান্য অবৈধ পথে বিদেশে পাচার করেছেন।
দুদক জানিয়েছে, জয়ের বিরুদ্ধে আয়কর রিটার্নে বিদেশি আয় গোপন, অননুমোদিত বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। আদালতে প্রমাণ হিসেবে এসব সম্পদ জব্দ করে উপস্থাপন করা হবে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে আরও সম্পদ জব্দ করা হতে পারে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
