সোমবার
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলে দেওয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন, যে দিন থেকে যেতে পারবেন

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
expand
খুলে দেওয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন, যে দিন থেকে যেতে পারবেন

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে উন্মুক্ত করা হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। দ্বীপ ভ্রমণ খোলা থাকবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।

প্রথম দুই মাস— অর্থাৎ নভেম্বর ও ডিসেম্বর—পর্যটকরা দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসতে পারবেন। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সীমিত পরিসরে দ্বীপে রাত্রিযাপনের অনুমতি দেওয়া হবে।

গত কয়েক বছর ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে পরিবেশবিদ, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলে আসছে। দ্বীপের নাজুক পরিবেশব্যবস্থা এবং প্রবালপ্রাচীর রক্ষার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠেছিল।

২০২৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও নৌবাহিনী এক যৌথ প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, পরিকল্পনাহীন পর্যটন, প্লাস্টিক দূষণ ও অতিরিক্ত রাত্রিযাপন দ্বীপের প্রবাল ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। তখন থেকেই পর্যটক সংখ্যা সীমিত করার সুপারিশ করা হয়।

এর আগে ২০২৪ সালের শীত মৌসুমে দ্বীপে ভ্রমণ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এতে একদিকে পরিবেশ কিছুটা স্বস্তি পেলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, মাছ ধরা ও নৌযান পরিবহন—সবকিছুই স্থবির হয়ে গিয়েছিল।

এবার তাই সরকার পর্যটন চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে। যাতে একদিকে পরিবেশ সুরক্ষা হয়, অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও কিছুটা স্বস্তি পান।

সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সীমিত পর্যটন চালু হওয়ায় তারা কিছুটা আশার আলো দেখছেন। তবে প্রতিদিন মাত্র ২ হাজার পর্যটক দ্বীপে প্রবেশ করতে পারলে ব্যবসার পরিধি আগের মতো হবে না।

অন্যদিকে পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, সীমিত পর্যটক ও নির্দিষ্ট মৌসুমে খোলার সিদ্ধান্ত দ্বীপের জন্য ইতিবাচক হবে। তবে বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি জরুরি।

পর্যটক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে।

দ্বীপে রাত্রিযাপনের জন্য পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিত করার প্রস্তাব উঠেছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ এবং প্রবালপ্রাচীর সংরক্ষণের জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে সেন্টমার্টিন টেকসই পর্যটনের আদর্শ মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তবে নিয়মকানুন ঠিকভাবে না মানলে এর ফল উল্টোও হতে পারে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন