শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব বদলাতে ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের এক সাইডলাইন বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
expand
জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের এক সাইডলাইন বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকে বদলে দিতে তরুণদের ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের এক সাইডলাইন বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, আমি তিন শূন্যের এক পৃথিবীর কথা বলছি— শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ (যাতে দারিদ্র্যের অবসান ঘটে) এবং শূন্য বেকারত্ব (যা সবার সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে সম্ভব)।

তিনি আরও বলেন, শূন্য বর্জ্য (জিরো ওয়েস্ট) ধারণাটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘জিরো ওয়েস্ট ইনিশিয়েটিভ’ এর অংশ। এটি কোনো কল্পনা নয়, ইতোমধ্যেই এই ধারার উদ্যোগগুলো বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এ কারণেই আমরা তরুণদের সর্বত্র ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ে তুলতে উৎসাহিত করছি— যেখানে প্রত্যেকে থ্রি-জিরো মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একজন থ্রি-জিরো মানুষ প্রতিশ্রুতি দেয় টেকসইভাবে জীবনযাপন করার, বর্জ্য কমিয়ে আনার এবং সামাজিক উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার। একই সঙ্গে তারা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, সম্পদ বৈষম্য এবং বেকারত্বে কোনো অবদান না রাখার জন্য সচেষ্ট হয়।

তিনি আরও বলেন, যত বেশি মানুষ এই আন্দোলনে যুক্ত হবে, এই ক্লাবগুলো রূপ নেবে থ্রি-জিরো পরিবারে, থ্রি-জিরো গ্রামে, থ্রি-জিরো শহরে— এবং একদিন গড়ে উঠবে একটি থ্রি-জিরো বিশ্ব। এটি একটি ছোট্ট পদক্ষেপ দিয়ে শুরু হয়। কিন্তু একসঙ্গে সেই পদক্ষেপগুলোই বিশ্বকে পাল্টে দিতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি সবসময় বিশ্বাস করেছি যে, এই ধরনের ফোরাম কেবল বক্তৃতার জায়গা নয়— এটি অনুপ্রেরণার ক্ষেত্র।

তিনি আরও বলেন, এই অস্থির সময়ে প্রকৃত রূপান্তর নিহিত আছে আমাদের ঐক্যে। যদি আমরা একসঙ্গে হাত মিলাই— সামাজিক ব্যবসার শক্তি, তরুণদের উদ্যম এবং প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাই— তবে জটিলতম বৈশ্বিক সংকটও আমরা সমাধান করতে পারব। আসুন আমরা এক নতুন তরঙ্গের স্থপতি হই— ন্যায়, টেকসই ও আশার ভিত্তিতে নির্মিত এক পৃথিবীর। এমন এক পৃথিবী, যেখানে আমাদের যৌথ স্বপ্ন মানবতার জন্য নতুন ভোরের সূচনা করবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন