

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিনহা হত্যাকাণ্ডের মামলায় হাইকোর্ট প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিহিত করেছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রদীপ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের বুকের বাম পাজরে জুতা পরা পা দিয়ে আঘাত করে বুকের হাড় ভাঙা এবং গলার বাম পাশে পা দিয়ে চাপ দিয়ে মৃত্যুর নিশ্চিত করেছে।
এই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
হাইকোর্টের ৩৭৮ পৃষ্ঠার রায় রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে সিনহা নিহত হন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি লিয়াকত আলী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তার হাতে থাকা সরকারি পিস্তল দিয়ে ভিকটিমের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরপর চারটি গুলি চালান। এতে সিনহা মারা যান।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, নুরুল আমিন, আয়াজ উদ্দিন ও মো. নিজাম উদ্দিন।
হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছে, প্রদীপ কুমার দাশ মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ভূমিকা রাখায় এবং লিয়াকত আলী পূর্বপরিকল্পিতভাবে চারটি গুলি চালিয়ে মৃত্যুর কারণ সৃষ্টি করার কারণে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপর ছয়জন আসামি হত্যাকাণ্ডে সহায়তা ও ষড়যন্ত্রের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
মূল আদালতের রায়ের ভিত্তিতে হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর আসামিপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবেন। এরপর আপিল বিভাগের মাধ্যমে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।
মন্তব্য করুন
