

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আপিলকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির জানান, বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান থাকবেন সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
তবে বাস্তবে এই ব্যবস্থা এখন আর কার্যকর নেই।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ ইতোমধ্যে গণভোটে পাঠানো হয়েছে। গণভোটে এটি অনুমোদন পেলে এবং পরবর্তী সংসদে সংবিধান সংস্কার সভায় তা গ্রহণ করা হলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার ধরন বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে।
সবকিছুই নির্ভর করছে সনদটি পাস হয় কি না তার ওপর।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়কে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ হিসাবে চিহ্নিত করে এই ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেন।
এই রায়ের পর শিশির মনির সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি জানান, আদালতের এই রায়ের ফলে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরেছে।
তবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে।
চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক মডেল পুরোপুরি কার্যকর হবে।
তার ভাষায়, “সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে—যদিও ব্যবস্থাটি এখনই সংবিধানে ফিরে এসেছে, কিন্তু পরবর্তী (১৩তম) নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, এবং ১৪তম নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারই নির্বাচনের দায়িত্ব নেবে।
মন্তব্য করুন
