বৃহস্পতিবার
২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত রায় আজ

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৫ এএম
হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
expand
হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের আবেদন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা করা হবে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় প্রদান করবেন।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস. এম. ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

১১ নভেম্বর শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত আজকের দিনটি রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারণ করেন। টানা ১০ কর্মদিবসের দীর্ঘ শুনানি শেষে দেশজুড়ে আলোচিত এ মামলার রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলেই আখ্যা দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

রিটকারী পক্ষের হয়ে আদালতে বক্তব্য দেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতে ইসলামের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ইন্টারভেনর হিসেবে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ ও ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন দিনে ২২, ২৩, ২৮, ২৯ অক্টোবর এবং ২, ৪, ৫, ৬, ১১ নভেম্বর।

১৯৯৬ সালে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট সংশোধনীটি বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করে দেন।

২০০৫ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। এরপরই একই বছরের জুনে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী, যা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে। ৩ জুলাই প্রকাশিত হয় গেজেট।

সরকার পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পৃথক আবেদন করেন।

এ ছাড়া নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনও পুনর্বিবেচনার আরেকটি আবেদন জমা দেন। সব আবেদন একত্রে শুনানি শেষে আপিল বিভাগের অনুমতিপ্রাপ্ত বর্তমান মামলার রায় আজ।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন