

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পারিবারিক বিবাদ, ভরণপোষণ, বাড়িভাড়া ও যৌতুকসহ মোট আট ধরনের অভিযোগ এখন থেকে আর সরাসরি আদালতে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে না—এমন ঘোষণা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি জানান, এসব বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হিসেবে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিলেটে এই নতুন উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন।
আসিফ নজরুল বলেন, পরিবারভিত্তিক দ্বন্দ্ব ও সামাজিক উত্তেজনা আদালত পর্যন্ত না গিয়ে যদি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা যায়, তাহলে বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ কমবে এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কও অটুট থাকবে।
তাঁর মতে, মধ্যস্থতার বাধ্যতামূলক ব্যবস্থাটি মামলা নিষ্পত্তি দ্রুততর করবে এবং অপ্রয়োজনীয় জটিলতা কমাবে।
নতুন এই ব্যবস্থা আপাতত ১২ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে—সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও রাঙামাটি। সফল হলে এটি পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় সম্প্রসারিত করা হবে।
আইন উপদেষ্টা জানান, প্রথমবারের মতো মানুষকে অভিযোগ দায়েরের আগেই আলোচনার টেবিলে বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এতে উভয় পক্ষ নিজেরাই সমাধান খুঁজে নেওয়ার সুযোগ পাবে, যা পরিবার ও সমাজ—উভয়ের জন্য ইতিবাচক হবে।
নিরাপত্তা ও আইন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আদালতের বাইরে বিকল্প সমাধান ব্যবস্থার প্রচলন দেশে ন্যায়বিচারের সহজলভ্যতা বাড়াবে। দ্রুত ও কম খরচে বিরোধ নিষ্পত্তি হলে মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা হ্রাস পাবে, এবং আদালতের কাজের চাপও দৃশ্যমানভাবে কমবে।
আসিফ নজরুল আশা প্রকাশ করেন, বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার এ উদ্যোগ পরিবারিক সম্পর্ক রক্ষা, যৌতুক–বিরোধী কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা এবং সামাজিক শান্তি বজায় রাখতে নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। তাঁর মতে, “আলোচনা ও সমঝোতার পথ খোলা থাকলে—পরিবার, সমাজ এবং বিচারব্যবস্থা—সবই উপকৃত হয়।”
মন্তব্য করুন
