

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিশ্বজুড়ে নতুন করে বিশাল পরিসরে তথ্য ফাঁসের ঘটনা সামনে এসেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ কোটি ৩০ লাখ ইমেইল অ্যাকাউন্ট ও সংশ্লিষ্ট পাসওয়ার্ড অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা-এগুলোর বড় একটি অংশই জিমেইল ব্যবহারকারীর হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম হ্যাভ আই বিন পনড (Have I Been Pwned - HIBP) সম্প্রতি তাদের ডেটাবেজে এই ফাঁস হওয়া তথ্য যুক্ত করেছে। ফলে ব্যবহারকারীরা এখন নিজস্ব ইমেইল আইডি দিয়ে যাচাই করতে পারবেন, তাদের তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে কি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছর এটিই সবচেয়ে বড় ইমেইল ও পাসওয়ার্ড ফাঁসের ঘটনা।
তবে গুগলের সার্ভার বা সিস্টেম হ্যাক হয়নি বলে আশ্বস্ত করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো এসেছে এমন সব ডিভাইস থেকে, যেগুলো ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়ে ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য চুরি করেছিল।
হ্যাভ আই বিন পনডের পরিচালক ট্রয় হান্ট জানিয়েছেন, এই ডেটাসেটের নাম “Syntient Stealer Logs Threat Data”। এটি কোনো নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে নয়, বরং বিশ্বের বিভিন্ন সংক্রমিত কম্পিউটার থেকে সংগৃহীত লগ ফাইলের মাধ্যমে তৈরি। অক্টোবরের শেষদিকে এটি HIBP-তে যুক্ত হয়। এতে থাকা অধিকাংশ পাসওয়ার্ডই এনক্রিপ্টেড নয়, অর্থাৎ সাধারণ টেক্সট আকারে রাখা ছিল, যা হ্যাকের ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইবার অপরাধীরা এখন বড় প্রতিষ্ঠানে সরাসরি হামলার পরিবর্তে ব্যক্তিগত ডিভাইস লক্ষ্য করে ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য চুরির কৌশল নিচ্ছে। এসব ম্যালওয়্যার গোপনে ব্যবহারকারীর লগইন ডেটা, কুকি এবং অথেন্টিকেশন টোকেন চুরি করে। এতে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (দ্বৈত যাচাই) পাশ কাটিয়ে সহজে হ্যাক করা সম্ভব হয়।
গুগল জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। তবে ফাঁস হওয়া তথ্য ইতোমধ্যেই ডার্ক ওয়েবে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে, বিশেষ করে যারা একাধিক অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন।
আপনার অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিতে কিনা জানুন:
নিজের ইমেইল ঠিকানাটি Have I Been Pwned ওয়েবসাইটে যাচাই করুন। ফাঁসের তালিকায় নাম পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন এবং অন্য কোথাও সেটি ব্যবহার করবেন না। এছাড়া টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) সক্রিয় করুন।
যদি সন্দেহ থাকে:
গুগলের Security Checkup Tool ব্যবহার করে অজানা ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনের অনুমতি যাচাই করুন। সন্দেহজনক লিঙ্ক বা সাইটে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। চাইলে হার্ডওয়্যার কি বা পাসকি ব্যবহারের মাধ্যমে সুরক্ষা আরও বাড়াতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ-ডিজিটাল নিরাপত্তার মূল কৌশল হলো সচেতনতা ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ। সামান্য অবহেলাও বড় ধরনের সাইবার হামলার কারণ হতে পারে।
মন্তব্য করুন
