শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া সেই শুটার আটক

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
সংগৃহীত ছবি
expand
সংগৃহীত ছবি

খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে সংঘটিত আলোচিত ডাবল মার্ডারের ঘটনায় সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া এজাজুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৬–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নিস্তার আহমেদ।

এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপসা উপজেলার আইচগাতি এলাকা থেকে এজাজুল হোসেনকে আটক করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার এজাজুল হোসেন ওই এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে এবং খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নিস্তার আহমেদ বলেন, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর আদালত চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে ফজলে রাব্বী রাজন (৩০) ও হাসিব হাওলাদারকে (৪০) প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে র‌্যাব-৬ এর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সমূহ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও পর্যালোচনা করে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ৭ জনকে শনাক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, খুলনা মহানগরীতে গ্রেনেড বাবু ও পলাশ গ্রুপের মধ্যে বিদ্ধমান দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার, শক্তিমত্তা প্রদর্শনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, মাদকের টাকা ভাগাভাগি, চাঁদা উত্তোলন নিয়ে বিবাদের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে হাজিরা দিয়ে ফেরার সময় রাজন ও হাসিব নামে দুইজনকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় হামলার ভয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ বাদী হয়ে ঘটনার ২ দিন পর একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় রিপন নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখালেও রিপনের পরিবার একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে দাবি করে আসছিলো যে রিপন ঘটনার সময় খুলনায় ছিল না। বাগেরহাটের ফকিরহাটের ফলতিতা বাজারে একটি মাছের আড়তে ছিল।

এদিকে র‌্যাবের সিও লে. কর্নেল নিস্তার আহমেদ জানান, ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে র‌্যাব যে ৭ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে তাদের মধ্যে রিপন ছিল না।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X