

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা করেছে পে কমিশন। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এ সভা রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
সভায় বেশ কিছু খসড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পে-কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী খান, মো. ফজলুল করিম, মো. মোসলেম উদ্দীন, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিকসহ কমিশনের খন্ডকালীন সদস্য এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ কমিশনের সভায় কমিশনের তৈরিকৃত ড্রাফট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
কিছু বিষয়ে সংশোধনী এনে পরবর্তীতে আবারও পূর্ণ কমিশনের সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার পূর্বে আরও অন্তত তিনটি পূর্ণ কমিশনের সভা করা হবে। এরপর কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গেছে।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বর মাসে আরও দুটি সভা করবে পে-কমিশন।
এরপর জানুয়ারির শুরুতে আরেকটি সভা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ওই সভা শেষে জানুয়ারি মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে।
সভায় উপস্থিত পে-কমিশনের এক সদস্য বলেন, তিন ধাপে পে-স্কেলের সুপারিশ বাস্তবায়িত হবে। প্রথম ধাপে পে-কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। দ্বিতীয় ধাপে এটি সচিব কমিটিতে যাবে।
তিনি বলেন, সচিব কমিটির অনুমোদনের পর তা উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে।
উপদেষ্টা পরিষদ কমিশনের রিপোর্টের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হবে।
আগামী বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
কমিশন যে ড্রাফট তৈরি করেছে সেখানে গ্রেড সংখ্যা এবং বেতনের কেমন সুপারিশ করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সদস্য বলেন, ‘কমিশন একটি ড্রাফট তৈরি করেছে।
তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত না হলে বেতন এবং গ্রেড নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
তবে অতিরঞ্জিত কোনো সুপারিশ করা হবে না। বাস্তব সম্মত সুপারিশ করা হবে।’
জানা গেছে, নবম পে-স্কেল নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন থেকে প্রাপ্ত মতামতগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে জাতীয় বেতন কমিশন (পে-কমিশন)। তবে এখনো সম্পূর্ণ প্রতিবেদন লেখার কাজ করা যায়নি বলে জানিয়েছে পে-কমিশন।
সোমবার কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্মচারীদের সাম্প্রতিক মহাসমাবেশ কিংবা বুধবার থেকে কঠোর কর্মসূচি-কোনো কিছুতেই বিচলিত নন তারা।
এদিকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেও সম্প্রতি সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের দমন প্রক্রিয়া ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন পরবর্তী সরাকারি সিদ্ধান্তে একরকম ভীত পে স্কেলের দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
সেজন্য আপাতত কঠোর কর্মসূচির দিকে যাচ্ছেন না তারা। সরকারি সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্যে কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করছেন তারা।
মন্তব্য করুন

