

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢালিউড অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেছেন, জীবনের নানা ওঠানামা, সামাজিক লড়াই ও ব্যক্তিগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি আজ নিজেকে শুধু একজন নারী নয়, একজন ‘মানুষ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্রবিষয়ক সংগঠন ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’ আয়োজিত ‘কথামালা-১৩’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি নিজের জীবনের অজানা অধ্যায় তুলে ধরেন।
‘অভিনয়, অভিনয়শিল্পী এবং আমার জীবন’ শীর্ষক আলোচনায় বাঁধন বলেন, লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর সবাই আমাকে ‘লাক্স সুন্দরী’ বলত। তখন সেটা উপভোগ করতাম, কিন্তু বুঝেছিলাম-শুধু সৌন্দর্য নয়, জ্ঞানের বিকাশ জরুরি।
অভিনেত্রী জানান, জীবনের কঠিন সময়গুলোই তাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে। এক সময় শুধু অর্থের জন্য অভিনয় করতাম। পরে থেরাপিস্টের এক প্রশ্ন আমাকে নিজের ভেতরে ডুব দিতে শেখায়। সেখান থেকেই ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর মতো চলচ্চিত্রে কাজ করার আত্মবিশ্বাস পাই, বলেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে বাঁধন বলেন, আমি ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করি। ডিভোর্সের পর এমন সময় এসেছে, যখন আমি রিহ্যাবে ছিলাম। মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় ছিলাম-ডিপ্রেশন, আত্মহননের চিন্তা, ওষুধ খাওয়া-সবকিছু পার করেছি। মানুষ আমাকে পাগলও বলেছে। কিন্তু এখন আমি জানি, আমি ভালো আছি, কারণ আমি টিকে আছি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে আইনি লড়াই ছিল তার জীবনের বড় মোড় পরিবর্তনের সময়। আমার মেয়েকে কেউ আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তখন আমি ঠিক করি, সমাজ যাই বলুক, আমি আমার অধিকারের জন্য লড়ব, বলেন বাঁধন।
অবশেষে আদালতের রায়ে মেয়ের পূর্ণ অভিভাবকত্ব ফিরে পেয়ে তিনি বলেন, ওই রায় শুধু আমার নয়, আমাদের সমাজে নারীর আত্মমর্যাদার জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেরিন আল জান্নাত, আর বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আল-মামুন এবং সহযোগী অধ্যাপক ও ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’ সম্পাদক কাজী মামুন হায়দার।
মন্তব্য করুন
