

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় করা মামলায় তার সাবেক স্ত্রী সামীরা হক, অভিনেতা ডনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আবারও বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে আগামী ১৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমার তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এই নতুন দিন নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত দিনে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম খন্দকার কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় আদালত সময় বাড়িয়ে দেন।
মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—সামীরার মা লতিফা হক লুছি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, খলনায়ক ডন, ডেবিট, জাভেদ, ফারুক, রুবী, আ. ছাত্তার, সাজু এবং রেজভি আহমেদ ওরফে ফরহাদ।
গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত। পরদিন রাতেই সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই আলমগীর কুমকুম নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী অপমৃত্যু মামলা করেন। ১৯৯৭ সালে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরের আবেদন করলে সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সেই বছরের ৩ নভেম্বর সিআইডি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে। যদিও সিএমএম আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করলেও সালমান শাহর বাবা তা মেনে না নিয়ে রিভিশন করেন। পরে ২০০৩ সালে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়।
১১ বছর পর, ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
বাবার মৃত্যুর পর মা নীলা চৌধুরী বাদী হয়ে ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আপত্তি জানান।
সর্বশেষ পিবিআই তদন্ত শেষ করে ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করে। তবে ২০২২ সালের ১২ জুন সেই আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
মন্তব্য করুন

